রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালতে সাক্ষ্য দেন তিনি।
অমিত জবানবন্দিতে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনার এক ঘণ্টার মধ্যে আমি বাসায় যাই।
একইদিনে সাক্ষ্য দেন নিহতের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতকারক নিউমার্কেট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) স্বপন কান্তি দে, পুলিশের গাড়িচালক কনস্টেবল আব্দুর রহমান ও নিহতের প্রতিবেশী মাওলানা হাবিবুর রহমান।
এ মামলার দুই আসামি নিহতের গৃহপরিচারিকা রুমা ও রিতা গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি মামলার বাদী ও নিহতের স্বামী ইসমত কাদির গামার জবানবন্দি গ্রহণের মাধ্যমে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছিল। দ্বিতীয় দিনে সাক্ষ্য দিলেন আরও চারজন। তাই রাষ্ট্রপক্ষে মোট ৩৪ সাক্ষীর মধ্যে পাঁচজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো। পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত।
২০১৯ সালের ২১ জুলাই মামলাটিতে অভিযোগপত্র দেন নিউ মার্কেট থানার এসআই আলমগীর হোসেন। অভিযোগপত্রে রেশমা ও স্বপনাকে প্রাথমিকভাবে অভিযুক্ত করা হলেও রুনু বেগম নামে একজনকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়।
গত ২৩ জানুয়ারি আইন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মো. মফিজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠিতে মামলাটি ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর কথা জানানো হয়।
২০১৮ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর অ্যালিফেন্ট রোডের নিজ বাসায় খুন হন মাহফুজা চৌধুরী। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী ইসমত মামলা দায়ের করেন।
মাহফুজা চৌধুরী ২০০৯ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ইডেন কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার স্বামী ইসমত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২০
কেআই/আরবি/