অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অপর পাঁচ আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে কিশোরগঞ্জের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় দেন।
রায় ঘোষণার সময় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বাছির উদ্দিন রিপন পলাতক ছিলেন। বাকি আসামিরা আদালত উপস্থিত ছিলেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বাছির উদ্দিন রিপন কুলিয়ারচর উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের মনির উদ্দিনের ছেলে।
খালাস প্রাপ্ত আসামিরা হলেন-শাহ আলম, ফজলুর রহমান, আবুল হাসিব, মুর্শিদ মিয়া ও খুর্শিদ মিয়া।
মামলার বিবরণে জানা যায়, পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে লক্ষ্মীপুর গ্রামের জজ মিয়ার সঙ্গে তার স্ত্রী আম্বিয়া খাতুনের বনিবনা হচ্ছিল না। এ অবস্থায় জজ মিয়া মৌখিকভাবে তার স্ত্রী আম্বিয়াকে তালাক দেন। পরে আম্বিয়া বাবার বাড়ি চলে যান। কিছুদিন পর আবারও তাকে বাড়িতে নিয়ে আসেন জজ মিয়া। স্ত্রীকে বাড়িতে রেখে তিনি বিদেশ চলে যান। কিন্তু পরিবারের লোকজন আম্বিয়াকে বাড়িতে নিয়ে আসার বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি। ২০০২ সালের ২ মে আম্বিয়ার দেবর বাছিরসহ কয়েকজন সিঁধ কেটে বসতঘরে ঢুকে আম্বিয়াকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
এ ঘটনায় ৩ মে নিহতের চাচা কায়েস উদ্দিন বাদী হয়ে বাছিরসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে কুলিয়ারচর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ একই বছরের ১৪ অক্টোবর ৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় সোমবার সকালে এ রায় দেন বিচারক।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) অ্যাডভোকেট জীবন কুমার রায় ও আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন ক্ষিতীশ চন্দ্র দেবনাথ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৮ ঘন্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২০
আরএ