এ মামলায় দণ্ডিত অপর এক আসামির আপিলের পর জামিন শুনানির সময় বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) এ আদেশ দেন।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীব এস এম শাহজাহান।
১৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকা পাচারের অভিযোগে ২০১৩ সালের ৩ নভেম্বর নিউমার্কেট থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলায় ২০১৮ সালের ১০ সেপ্টেম্বর নয়জনকে দশ বছর করে কারাদণ্ড দেন ঢাকার ১০ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আতাবুল্লাহ।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- বিসমিল্লাহ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খাজা সোলেমান আনোয়ার চৌধুরী, প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান নওরিন হাসিব, খাজা সোলেমানের বাবা সফিকুল আনোয়ার চৌধুরী, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আকবর আজিজ মুতাক্কি, মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আবুল হোসেন চৌধুরী, ব্যবস্থাপক রিয়াজউদ্দিন আহম্মেদ, নেটওয়ার্ক ফ্রেইট সিস্টেম লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. আক্তার হোসেন এবং জনতা ব্যাংকের কর্মকর্তা মোস্তাক আহমদ খান ও এস এম শোয়েব-উল-কবীর।
রায়ে আসামিদের ১৫ কোটি ৩৩ লাখ ৬১ হাজার ৬৮৬ টাকার দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থ জরিমানাও করেছে আদালত। ওই অর্থ ৬০ দিনের মধ্যে তাদের রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিতে বলা হয়েছে।
দণ্ডের সময় সবাই পলাতক থাকলেও পরে মোস্তাক আহমদ খান ও এস এম শোয়েব-উল-কবীর আত্মসমর্পণ করেন।
আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, এই দুইজন পরে আপিল করেন। এছাড়া শোয়েক-উল-কবীর জামিনও চেয়েছেন। তার জামিন শুনানিতে এ বিষয়টি আদালতের নজরে আসে।
হাসান এমএস আজিম আজিম বলেন, আইজিপি, র্যাবের ডিজি, ডিএমপি কমিশনারকে সাত দিনের মধ্যে এদের গ্রেফতার করে বিচারিক আদালতে সোপর্দ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। যদি দেখা যায় তারা দেশে নেই বিদেশে পলাতক থাকেন, তাহলে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড অ্যালার্ট নোটিশ জারির নির্দেশ দিয়েছন আদালত। এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য ৫ এপ্রিল দিন রেখেছেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২০
ইএস/জেডএস