রোববার (০৮ মার্চ) ঢাকার দ্রুত বিচার আদালত-৩ এর বিচারক দেবদাস চন্দ্র অধিকারী এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- এম এ মতিন সরোয়ার (৪২), মোস্তফা ওরফে ঝন্টু (৩৪), আজমান ওরফে রানা (২৮), সাগর মিয়া ওরফে আবু তাহের (৩৬), আসাদুজ্জামান ওরফে এরশাদ (৩২) ও কাশেম (২৩)।
ওই আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান জানান, আসামিদের মধ্যে এম এ মতিন সরোয়ার নিজেকে দৈনিক স্বাধীন সংবাদের যুগ্ম সম্পাদক পরিচয় দিতেন। মামলার আসামিরা জামিন নিয়ে পলাতক হয়েছেন। তাই আদালত রায় ঘোষণার পর তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালে ইস্কান্দার আলীর স্ত্রী মারা গেলে বিয়ের জন্য একজন নারীর সন্ধান করতে থাকেন তিনি। একটি দৈনিকে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন দেখে তিনি ফোন দিয়ে ইস্টার্ন প্লাজায় গেলে এক বিধবা নারীকে পাত্রী হিসেবে দেখান আসামিরা।
এরপর বিয়ের বিষয়ে কথা বলতে ২০১৫ সালের ২৮ মার্চ ইস্কান্দারকে আসামিরা উত্তরা-পশ্চিম থানাধীন ১০ নং সেক্টরস্থ ১২ নং রোডের ৪ নং বাড়িতে আসতে বলেন। এস্কান্দার আলী সেখানে গেলে আসামিরা তাকে মারধর করেন এবং এক লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করেন। তার কাছে থাকা নয় হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন।
এরপর এস্কান্দার আলী মিয়া নামের এক মুক্তিযোদ্ধা ২০১৫ সালের ১ এপ্রিল উত্তরা-পশ্চিম থানায় ৯ জনের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেন। যেখানে দণ্ডপ্রাপ্ত ছয়জন ছাড়াও মানিক, নয়ন ও আলতাফকে আসামি করা হয়। মামলাটি তদন্ত করে সংশ্লিষ্ট থানার এসআই মুহাম্মদ ফিরোজ আলম ছয়জনকে অভিযুক্ত করে ৯ এপ্রিল চার্জশিট দাখিল করেন। মানিক, নয়ন ও আলতাফের অব্যাহতির আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
একই বছরের ১৩ জুলাই ৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলাটির বিচার চলাকালে আদালত চার্জশিটে থাকা ১১ সাক্ষীর মধ্যে চারজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এই রায় দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের আইনজীবী বলেন, এ সাজার মধ্য দিয়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। পরবর্তীতে কেউ আর ভুয়া পরিচয় দিয়ে এ ধরনের অপরাধ করার সাহস পাবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০২০
কেআই/জেডএস