সোমবার (০৯ মার্চ) ঢাকার প্রথম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক কাজী আব্দুল হান্নান এ রায় দেন।
দ্রুততম সময়ের মধ্যে মামলাটির বিচার সম্পন্ন হতে যাচ্ছে।
রায়ের সময় মামলাটির একমাত্র আসামি হারুনুর রশিদ আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
২০১৯ সালের ৫ জুলাই সন্ধ্যার পর থেকে শিশু সায়মার খোঁজ পাচ্ছিল না তার পরিবার। অনেক খোঁজাখুঁজির পর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ওয়ারীতে বনগ্রামের খালি ফ্ল্যাটের নবম তলায় তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। এ সময় গলায় রশি প্যাঁচানো, মুখ বাঁধা ও রক্তাক্ত অবস্থায় ছিল সে।
খবর পেয়ে রাত ৮টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। ঘটনার পরদিন সায়মার বাবা আব্দুস সালাম বাদী হয়ে ওয়ারী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
মামলার একমাত্র আসামি হারুনুর রশিদের বাড়ি কুমিল্লায়। ওয়ারীর বনগ্রামের যে বহুতল ভবনে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনাটি ঘটেছে, তার অষ্টম তলায় খালাতো ভাই পারভেজের বাসায় থাকতেন হারুন এবং ঠাঁটারীবাজারে পারভেজের রঙের দোকানেই কাজ করতেন।
হত্যার শিকার সাত বছর বয়সী মেয়েটি ভবনটির ষষ্ঠ তলায় পরিবারের সঙ্গে থাকতো। অন্যদিনের মতোই আটতলায় পারভেজের মেয়ের সঙ্গে খেলতে যাওয়ার কথা বলে শুক্রবার বাসা থেকে বের হয়েছিল সে। ছয় বছরের সেই ছোট্ট শিশুটি খেলতে গিয়েই হারুনের লালশার শিকার হয়েছে। তাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে নবম তলায় ফেলে রেখে আসেন হারুনুর রশিদ।
মামলাটির একমাত্র আসামি হারুন অর রশিদকে গত ৭ জুলাই তার বাড়ি কুমিল্লার তিতাস থানার ডাবরডাঙ্গা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। পরদিন আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন হারুন। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠান আদালত। সেই থেকে তিনি কারাগারে।
গত বছরের ৫ নভেম্বর মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির ওয়ারী জোনাল টিমের পরিদর্শক মোহাম্মদ আরজুন। এরপর গত ২০ নভেম্বর ঢাকার মহানগর হাকিম মইনুল ইসলাম অভিযোগপত্রটি ‘দেখিলাম’ লিখে স্বাক্ষরের পর মামলাটি বিচারের জন্য এক নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বদলির আদেশ দেন।
চলতি বছরের ২ জানুয়ারি মামলায় অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০২০
কেআই/টিএ