সোমবার (৯ মার্চ) দুপুরে চাঁদপুরের শাহরাস্তি আমলী আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়্যাল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাসান জামান এ আদেশ দেন।
মামলার বাদী খন্দকার মনির হোসেন শাহরাস্তি উপজেলার মেহের উত্তর ইউনিয়ন বানিয়াচোঁ গ্রামের মৃত খন্দকার আবু তাহেরের ছেলে এবং মামলার বিবাদী মিনোয়ারা বেগম কুমিল্লা জেলার বরুড়া উপজেলার শাকপুর গ্রামের ইমান হোসেনের মেয়ে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, মনির ও মিনোয়ারা ২০১৩ সালে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে মিনোয়ারা স্বামী মনিরকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করে আসছিলেন। এরই মধ্যে ২০১৭ সালে মিনোয়ারা বেগম বাবার বাসায় গিয়ে চলে গিয়ে গোপনে অন্য ছেলেকে বিয়ে করে সংসার শুরু করেন। বিয়ের কথা গোপন করে কিছুদিন পরে আবার মনিরের সংসারে আসেন এবং আড়াই লাখ টাকা কাবিন করেন। এসব ঘটনা চলমান অবস্থায় মিনোয়ারা বেগম তার স্বামীর কাছে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন এবং তাকে বরুড়ায় একটি বাড়ি করে দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন। তাদের উভয়ের মধ্যে এ নিয়ে ঝগড়া বিবাদ হয় এবং মিনোয়ারা তার স্বামীকে বেধম পিটিয়ে আহত করেন। এসব ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে কোনো প্রতিকার না পাওয়ায় খন্দকার মনির হোসেন ২০১৯ সালের ১১ সেপ্টেম্বর মিনোয়ারা বেগমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মহসীন মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত করার জন্য শাহরাস্তি থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এছাড়াও বিবাদী মিনোয়ারা বেগমের বিয়ে, তালাক, তথ্য গোপন করে আবার বিয়ে ইত্যাদির কাগজপত্র পর্যালোচনা করেন। এসব পর্যালোচনা শেষে আজ আসামি মিনোয়ারা বেগম আদালতে হাজির হয়ে জামিনের প্রার্থনা করলে তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাড. মো. হান্নান কাজী।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০২০
আরএ