বুধবার (১১ মার্চ) পাপিয়া ও তার স্বামীকে আদালতে হাজির করে বিমানবন্দর থানার একটি ও শেরে বাংলানগর থানার দুটি মামলায় ফের ৩০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। শুনানি শেষে বিমান বন্দর থানার মামলায় জন্য ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস ৫ দিনের এবং শেরে বাংলানগর থানার দুই মামলার জন্য ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাফুজ্জামান আনছারী ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে এই তিনটি মামলায় গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ১৫ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছিলেন আদালত। সেই রিমান্ড শেষে বুধবার (১১ মার্চ) তাদের আদালতে হাজির করে ফের ৩০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়।
আগের দিন পাপিয়ার পক্ষে কয়েকজন আইনজীবী থাকলেও এদিন রিমান্ড শুনানিতে রাষ্ট্র বা আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
এসময় পাপিয়ার স্বামী আদালতে বলেন, আমরা ১৫ দিনের রিমান্ড থেকে এসেছি, এখন আমাদের আইনজীবীরা মনে হয় জানেন না। তখন বিচারক কিছু না বলে রিমান্ডের আদেশ দেন।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি র্যাব-২ এর একটি দল পাপিয়া পিউকে গ্রেফতার করে। এদিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে নয়াদিল্লিতে যাওয়ার সময় বহির্গমন গেট থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, বাংলাদেশি দুই লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ জাল টাকা, ৩১০ ভারতীয় রুপি, ৪২০ শ্রীলংকান মুদ্রা, ১১ হাজার ৯১ মার্কিন ডলার ও সাতটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
র্যাব জানায়, যুবলীগ নেত্রী পাপিয়া পিউ নামেই তিনি বেশি পরিচিত। এই নেত্রীর প্রকাশ্য আয়ের উৎস গাড়ি বিক্রি ও সার্ভিসিংয়ের ব্যবসা। তবে এর আড়ালে তিনি মূলত অবৈধ অস্ত্র ও মাদকের ব্যবসা করতেন। কোনো কাজ বাগিয়ে নিতে পাঁচতারকা হোটেলে সুন্দরী তরুণীদের পাঠিয়ে মনোরঞ্জন করতেন সংশ্নিষ্ট ব্যক্তিদের।
পরে ২৩ ফেব্রুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে বিমান বন্দর থানায় জাল টাকা উদ্ধারের ঘটনায় এবং ২৪ ফেব্রুয়ারি শেরে বাংলানগর থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনে দুটি মামলা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৭ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২০
কেআই/এইচএডি/