বুধবার (১৮ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক ফজলে খোদা মো. নাজির এ রায় দেন। তবে
দণ্ডপ্রাপ্ত ভৌমিক একই উপজেলার বোয়ালিয়া মালিপাড়া গ্রামের বৈদ্যচন্দ্র ভৌমিকের ছেলে।
ওই আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আইনজীবী আব্দুল হামিদ লাবলু বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বরাদ দিয়ে তিনি জানান, ১৯৮৭ সালে কামারখন্দ উপজেলার হরিপদর মেয়ে
স্বপ্না রানীর সঙ্গে বিয়ে হয় সনাতন চন্দ্র ভৌমিকের। বিয়ের সময় যৌতুক হিসাবে
ধার্য্য করা একলাখ টাকার মধ্যে ৬০ হাজার টাকা দেওয়া হয় তাকে। বাকি ৪০ হাজার টাকা
যৌতুকের জন্য বিভিন্ন সময় স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন ভৌমিক।
এরই এক পর্যায়ে ২০০১ সালের ২ আগস্ট রাতে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী স্বপ্না
রানীকে মারপিট ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন ভৌমিক। এ ঘটনায় নিহতের মা রাজু
বালাদে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকেই সনাতন সপরিবারে
পলাতক রয়েছেন।
মামলার দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে অপরাধ প্রামাণিত হওয়ায় আসামির অনুপস্থিতিতে বুধবার বিচারক এ ঘোষণা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২০
এসআরএস