বুধবার (১৮ মার্চ) রেজিস্ট্রি ডাকযোগে পৃথক এ নোটিশ পাঠানো হয়।
হোম কোয়ারেন্টাইন
হোম কোয়ারান্টাইন সংশ্লিষ্ট বাড়িগুলোর সামনে প্রয়োজনীয় সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড ঝুলানোর পদক্ষেপ গ্রহণে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানজীম আল ইসলাম আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন।
নোটিশে বলা হয়েছে, 'বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রভাব এখন বাংলাদেশেও। করোনায় আক্রান্ত হওয়া ১০ জনের ভেতর বেশিরভাগ বিদেশ ফেরত এবং বাকিরা তাদের দ্বারা সংক্রমিত। পরিস্থিতি বিবেচনায় এটা প্রতীয়মান যে, আমাদের দেশ-বিদেশ ফেরত প্রবাসীরাই মূলত করোনায় আক্রান্ত এবং তাদের মাধ্যমে বাকিরা আক্রান্ত হচ্ছে। ’
‘সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল ১৪ দিনের জন্য কোয়ারেন্টিন করার কথা বলেছে। হোম কোয়ারেন্টাইন তার জন্য, যিনি এখনো পজিটিভ হননি। '
নোটিশে আরও বলা হয়েছে, পত্র-পত্রিকা মারফত জানা যাচ্ছে যে, আমাদের দেশে হোম কোয়ারেন্টিনের নিয়ম যথাযথভাবে মানা হচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে, হোম কোয়ারেন্টিনের বিষয়টি যদি সঠিকভাবে তদারকি না করা হয়, তাহলে করোনা ভাইরাসটি সারাদেশে ছড়িয়ে যাওয়ার গভীর আশংঙ্কা রয়েছে।
‘যেহেতু করোনা ভাইরাস একটি সংক্রামক রোগ, সেক্ষেত্রে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিদের বাড়ির সামনে সতর্কবার্তা (সাইনবোর্ড) দিয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে এবং হোম কোয়ারেন্টাইন বাড়ি বা ঘর হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। সতর্কবার্তার মধ্যে এটি উল্লেখ করা যেতে পারে যে, হোম কোয়ারেন্টিন মানেই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত নন। যাতে তিনি/তারা সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন না হয়। পাশাপাশি, করোনা ভাইরাসের মতো সংক্রামক রোগটির সংক্রমণ প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রম চালু রাখতে হবে। ’
গৃহপালিত গবাদিপশু
গৃহপালিত, গবাদিপশু কিংবা পোষাপ্রাণীর মাধ্যমে করোনা ভাইরাস ছড়ানো সংক্রান্ত মিথ্যা ও ভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারণা প্রত্যাহার ও বন্ধে নোটিশ প্রেরণ করেন মানবাধিকার সংগঠন পিপল ফর এনিমেল ওয়লফেয়ার ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান রাকিবুল হক এমিলের পক্ষে ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান। স্বাস্থ্য অধিদফতর ও প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক, তথ্য অধিদফতরের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা, আইইডিসিআরের পরিচালক এবং ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের এ নোটিশ দেওয়া হয়।
নোটিশে বলা হয়, কিছু অবৈজ্ঞানিক, অপ্রমানিত এবং মিথ্যা তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। যেমন- কোভিড-১৯ কিভাবে ছড়ায় বলে একটি পয়েন্টে বলা হচ্ছে, গৃহপালিত পশু-পাখি এবং গবাদি পশুর মাধ্যমে। অথচ এ ভাইরাস থেকে বাঁচতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, বিশ্ব প্রাণি স্বাস্থ্য সংস্থা এবং সিডিসি বলছে হাত পরিষ্কার করতে, নাক মুখ ডেকে রাখতে ও আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে দূরে থাকতে। ’
‘কোভিড-১৯ কোনো পোষা বা গবাদি পশু থেকে ছড়ায় বা ছড়িয়েছে এই বিষয়ে কোনো প্রমাণ এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি বলেও জানান আইনজীবী শিহাব উদ্দিন খান। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২০
ইএস/এএটি