সোমবার (২৩ মার্চ) দুপুরে ঢাকার চতুর্থ বিশেষ জজ আদলেতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম শুনানির এই দিন ধার্য করেন। পরে দুদকের সহকারী পরিদর্শক আক্কাস আলী বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি মামলাটি বিচারের জন্য এই আদালতে বদলির আদেশ দেন ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ। এসকে সিনহাসহ পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বিজি প্রেস থেকে গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারির পর বদলির এই আদেশ দেন আদালত।
মামলাটির ১১ আসামির মধ্যে ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমান পদ্মা ব্যাংক লিমিটেড) সাবেক এমডি একেএম শামীম ও এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সাবেক ক্রেডিট প্রধান গাজী সালাহউদ্দিন গত ২০ ফেব্রুয়ারি আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন নিয়েছেন। এছাড়া অন্য মামলায় গ্রেফতার থাকা মো. মাহবুবুল হক চিশতীকে (বাবুল চিশতী) এই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
এসকে সিনহাসহ মোট আট আসামি এখন পলাতক। তারা হলেন- ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সফিউদ্দিন আসকারী আহমেদ, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক, টাঙ্গাইলের মো. শাহজাহান, নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা, সাভারের শ্রীমতি সান্ত্রী রায় (সিমি) ও শ্রী রনজিৎ চন্দ্র সাহা।
গত ৯ ডিসেম্বর ১১ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হয়। অভিযোগত্রে ফারমার্স ব্যাংকের নিরীক্ষা কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতীর (বাবুল চিশতী) নাম নতুনভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আর তদন্তকালে এজাহারনামীয় আসামি ফারমার্স ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক (গুলশান) মো. জিয়া উদ্দিন আহমেদ মারা যাওয়ায় তাকে এই মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
সেই অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে গত ৫ জানুয়ারি এসকে সিনহাসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে প্রভাব বিস্তার করে নিজেরা লাভবান হয়ে অন্যদেরও লাভবান করেছেন। অবৈধভাবে ভুয়া ঋণ সৃষ্টির মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করে নগদে উত্তোলন ও বিভিন্ন পে-অর্ডারের মাধ্যমে স্থানান্তর করে অর্জিত অপরাধলব্ধ আয় উত্তোলন, স্থানান্তর ও নিজেদের ভোগ দখলে রেখে অবস্থান গোপন করে পাচার করেছেন বা পাচারের ষড়যন্ত্রে সংঘবদ্ধভাবে সম্পৃক্ত থেকে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২)(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
এর আগে ২০১৯ সালের ১০ জুলাই ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভুয়া ঋণের মাধ্যমে চার কোটি টাকা স্থানান্তর ও আত্মসাৎ করার অভিযোগ এনে মামলাটি করে দুদক। গত ৪ ডিসেম্বর এই মামলায় অভিযোগপত্র অনুমোদন দেয় সংস্থাটি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২০
কেআই/টিএ