সোমবার (২৩ মার্চ) এ মামলার অভিযোগ গঠনের জন্য শুনানির দিন ধার্য ছিল। তবে করোনা ভাইরাস নিয়ে সতর্কতার পরিপ্রেক্ষিতে আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়নি।
এ মামলায় গত ৬ ফেব্রুয়ারি অভিযোগ গঠন শুনানি শুরু হয়। সেদিন তিন আসামি অব্যাহতির (ডিসচার্জ) আবেদন করেন। তারা হলেন, আব্দুর রউফ প্রধান, মাওলানা আবুল কাশেম ওরফে বড় হুজুর ও সালাহ উদ্দিন কামরান। ওইদিনই এ বিষয়ে আদেশের জন্য ২ মার্চ দিন ধার্য করেন। তবে কারাগার থেকে আসামি হাজির না করায় এ নিয়ে দুই দফায় এ মামলার অভিযোগ গঠনের আদেশ পেছালো।
এই মামলার আসামিরা হলেন- রাকিকুল হাসান রিগ্যান (২১), সালাহ উদ্দিন কামরান (৩০), আব্দুর রউফ প্রধান (৬৩), আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আবু জাররা ওরফে র্যাশ (২০), শরীফুল ইসলাম ওরফে খালেদ ওরফে সোলায়মান (২৫), মামুনুর রশিদ রিপন ওরফে মামুন (৩০), আজাদুল কবিরাজ ওরফে হার্টবিট (২৮), মুফতি মাওলানা আবুল কাশেম ওরফে বড় হুজুর (৬০), আব্দুস সবুর খান হাসান ওরফে সোহেল মাহফুজ ওরফে নাসরুল্লা হক ওরফে মুসাফির ওরফে জয় ওরফে কুলমেন (৩৩), হাদিসুর রহমান সাগর (৪০) ও আজাদুল কবিরাজ।
এর মধ্যে আবুল কাশেম ওরফে বড় হুজুর এবং আব্দুর রউফ প্রধান জামিনে আছেন। আর আজাদুল কবির পলাতক রয়েছেন। হলি আর্টিজান মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৭ আসামির ৬ জন এই মামলায়ও আসামি।
এ মামলায় ২০১৮ সালের ৫ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের পরিদর্শক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ১০ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেন। এরপর ২০১৯ সালের ৯ মে মামলাটি সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বদলির আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস।
জাহাজ বাড়িতে অভিযানে নিহত ৯ জন এবং নারায়ণগঞ্জে নিহত তামিম চৌধুরী ও আশুলিয়ায় নিহত সরোয়ার জাহানকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
২০১৬ সালের ২৫ জুলাই কল্যাণপুরের ৫ নম্বর সড়কে জাহাজ বাড়িতে রাতভর অভিযান চালায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। সকালে এক ঘণ্টার মূল অভিযানে ৯ জঙ্গি নিহত হন। আহত হন রিগ্যান নামে আরও একজন।
অভিযানের দুদিন পর মিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. শাহ জালাল আলম সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলাটি করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২০
কেআই/ওএইচ/