তবে তার আইনজীবীরা জানিয়েছেন আদালত খুললেই তারা রিভিউ আবেদন দায়ের করবেন।
গত ১৬ মার্চ তার মৃত্যু পরোয়ানা কারাগারে পাঠান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) তার আইনজীবী শিশির মনির জানান, সময় শেষ হলেও নিয়ম হচ্ছে শেষ দিবসে যদি ছুটি থাকে তাহলে খোলার দিন আবেদন করতে হবে। এখন আদালতে সাধারণ ছুটি চলছে। আমাদের আবেদন প্রস্তুত। যেদিন আদালত খুলবে সেদিন আবেদন দায়ের করবো।
এর আগে খালাস চেয়ে আজহারুল ইসলামের করা আপিল আংশিক মঞ্জুর করে গত বছরের ৩১ অক্টোবর রায় ঘোষণা করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ।
পরে গত ১৫ মার্চ এ রায় প্রকাশ পায়।
২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায়ে ২ নম্বর, ৩ নম্বর এবং ৪ নম্বর অভিযোগে ফাঁসির দণ্ডাদেশ পেয়েছেন আজহার।
এছাড়া ৫ নম্বর অভিযোগে অপহরণ, নির্যাতন, ধর্ষণসহ অমানবিক অপরাধের দায়ে ২৫ বছর ও ৬ নম্বর অভিযোগে নির্যাতনের দায়ে ৫ বছর কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
আপিল বিভাগ রায়ে ২, ৩, ৪ (সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে) ও ৬ নম্বর অভিযোগের দণ্ড বহাল রাখেন। আর ৫ নম্বর অভিযোগ থেকে খালাস দেন।
গত বছরের ১০ জুলাই এ আপিলের ওপর শুনানি শেষে সিএভি (রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ) রাখেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ।
১৮ জুন আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়। আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড জয়নুল আবেদীন পেপারবুক উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে এ শুনানি শুরু হয়েছিল।
২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আজহারকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রংপুর অঞ্চলে ১২৫৬ ব্যক্তিকে গণহত্যা-হত্যা, ১৭ জনকে অপহরণ, একজনকে ধর্ষণ, ১৩ জনকে আটক, নির্যাতন ও গুরুতর জখম এবং শতশত বাড়ি-ঘরে লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগের মতো নয় ধরনের ছয়টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয় এটিএম আজহারের বিরুদ্ধে।
এসব অভিযোগের মধ্যে এক নম্বর বাদে বাকি পাঁচটি অভিযোগই প্রমাণিত হয়েছে ট্রাইব্যুনালের রায়ে। সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটির (ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের দায়) অভিযোগ ছাড়াও তিনি যে আলবদর কমান্ডার ছিলেন, তাও প্রমাণিত হয় বলে উল্লেখ করা হয় রায়ে।
২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি ১১৩ যুক্তিতে আজহারকে নির্দোষ দাবি করে খালাস চেয়ে আপিল করেন তার আইনজীবীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২০
ইএস/এএ