রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তাসহ কয়েকজন আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা যায়।
১৩ মার্চ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত উচ্চ আদালত অবকাশকালীন ছুটিতে ছিল।
সাধারণ ছুটিতে কীভাবে সময় কাটছে এমন প্রশ্নে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, এই পরিস্থিতিতে বাসায় অনেকগুলো বই নিয়ে এসেছি। সেগুলো পড়ে শেষ করছি। বেশির ভাগ সময় বই পড়ে কেটে যায় সময়।
বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, নিম্ন আয়ের মানুষেরা খুবই বিপদে আছে। এখন বৃত্তবানরা এগিয়ে আসতে হবে। আমি আমার এলাকা লৌহজংয়ের দুটি ইউনিয়নে খাদ্যসামগ্রী দিয়েছি। এখনতো বৃত্তবানদের অভাব নেই। আমি আশা করি তারাও এগিয়ে আসবেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান বলেন, বেশিরভাগ সময় কাটে আদালতের রায় পড়ে। কারণ যেসব মামলায় রায় দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে আসেনি সেগুলোর রায় বেশি করে পড়ছি। কোথায় আমার দুর্বলতা ছিল। কোন যুক্তিতে। সেটা খুঁজে বের করছি। ভবিষ্যতে যেন এটি আর না হয়। এছাড়া কিছু মামলারও ব্রিফ (আবেদন) তৈরি করছি। এভাবে মূলত সময় কেটে যায়।
তবে দেশি-বিদেশি খবর দেখে উৎকণ্ঠায় সময় কাটান আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তিনি বলেন, এই রকম অদ্ভুত পরিস্থিতি আগে কখনো আসেনি। হয়তো মার্শাল ল’ আমলে ২/৩ দিন ঘরে ছিলাম। কিন্তু এবারের পরিস্থিতি একেবারে ভিন্ন। গৃহকর্মীদের ছুটি দিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে দিয়ে দিন কাটাচ্ছি।
মনজিল মোরসেদ আরও বলেন, বেশিরভাগ সময় টিভিতে নিউজ দেখে সময় কাটাই। কারণ প্রতি মুহূর্তে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো নতুন খবর দিচ্ছে। এছাড়া দেশি সংবাদতো আছেই। এখন উৎকণ্ঠা হচ্ছে দৈনন্দিন আয়ের মানুষ নিয়ে। এখন বিভিন্ন খাতে হয়তো প্রণোদনা দেওয়ার কথা আসছে। চাকরিজীবীরা তো মাস শেষে বেতন পান। কিন্তু কিছু আইনজীবী আছেন যারা সপ্তাহের রোজগার দিয়ে চলেন, তাদের কী হবে? তারা কীভাবে চলবে। তাদের নিয়ে ভাবতে হবে। তাদের কথাও চিন্তা করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০২০
ইএস/এএ