শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিনুর রহমান একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। একইসঙ্গে এই মামলার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২৭ এপ্রিল দিন ধার্য করা হয়েছে।
বন্ধুকে ফাঁসাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া সেই গুজবের বিষয়টি নিজেই পুলিশকে অবহিত করেন নাইম। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) হাতে নিজেই গ্রেফতার হন।
বুধবার (১ এপ্রিল) সিআইডির সাইবার পুলিশের একটি টিম তাকে গ্রেফতার করেছে বলে জানান পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) সোহেল রানা।
সিআইডি জানায়, গত ২৯ মার্চ সিআইডির সাইবার মনিটরিং টিম একটি বিভ্রান্তিকর পোস্ট শনাক্ত করে। এক তথ্যদাতা তাদের ফেসবুক পেজে ওই পোস্টের বিষয়ে অবগত করেন।
‘শনির আখড়ায় করোনা ভাইরাসে ২৭ জন মারা গেছে’ এমন তথ্য উল্লেখিত পোস্টটি প্রচুর পরিমাণে লাইক-শেয়ার হয়। এরপরই তদন্তে নামে সাইবার পুলিশের একটি বিশেষ টিম। অবশেষে প্রযুক্তিগত সহায়তায় সেই গুজব পোস্টকারী নাইমুর রহমান ওরফে নাইমকে যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে রাজধানীর কদমতলী থানায় এরইমধ্যে একটি মামলা (নম্বর-৩) দায়ের করা হয়েছে।
নাইমকে প্রথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে সিআইডি জানায়, নাইম ওই আইডিটি হ্যাক করেছেন। আইডির আসল মালিক তার একসময়ের বন্ধু ছিলেন। পরবর্তী সময়ে তাদের মধ্যে বাদানুবাদের একপর্যায়ে তিনি নাইমকে মারধর করেন। পরে প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে গত ২৩ মার্চ নাইম তার বন্ধুর আইডি হ্যাক করতে সক্ষম হন। ২৯ মার্চ ওই আইডিতে বর্তমান পরিস্থিতির সুযোগে গুজব সম্বলিত পোস্টটি করেন নাইম।
এখানেই শেষ নয়, তিনি অন্য একটি ভুয়া আইডি তৈরি করে সাইবার পুলিশের পেজে গুজবের পোস্ট সম্পর্কে তথ্য দেন। যাতে আইডির আসল মালিক গ্রেফতার হয়ে যান। তবে সাইবার পুলিশের তদন্তের জালে ধরা পড়েন নাইম নিজেই।
গ্রেফতারের সময় নাইমের মোবাইলসহ বিভিন্ন ডিভাইস জব্দ করেছে সাইবার পুলিশ সেন্টার। তিনি একজন কন্ট্রাক্ট হ্যাকার। টাকার বিনিময়ে এর আগেও তিনি ফেসবুক হ্যাকিংয়ের কাজ করেছেন। তার ডিভাইসে সেসব অপরাধের বিভিন্ন তথ্য পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২৩৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০২০
কেআই/এএটি