মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ এ প্রস্তাব দেন।
পরে শুক্রবার (৩ এপ্রিল) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ জানান, প্রধানমন্ত্রীর সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার মাধ্যমে (ভার্চুয়াল মাধ্যম) শুক্রবার এ প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আইন পেশায় ৫৫ হাজারের বেশি ব্যক্তি নিয়োজিত আছেন। তার মধ্যে একটি অংশ জুনিয়র হিসেবে কাজ করছে এবং সাধারণত সিনিয়রের প্রতিদিনের দেওয়া অর্থই তাদের একমাত্র অবলম্বন। আদালত বন্ধ থাকায় তারা তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
জুনিয়রশিপ শেষ করে যারা নিজস্ব প্র্যাকটিস শুরু করেন তাদের কয়েক বছর সামান্য আয়ের উপর চলতে হয়, কোর্ট বন্ধ থাকায় তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। অন্যদিকে বিভিন্ন বারে প্র্যাকটিসরত একটি বড় অংশ তাদের রেগুলার ইনকামে চলতে হয়, বন্ধ থাকার কারণে তাদেরও অর্থনৈতিক সমস্যায় পড়তে হয়েছে।
‘বর্তমানে মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে দেশের সব মানুষকে নিজ নিজ বাসায় অবস্থান করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে এবং তা কার্যকর করতে অফিস আদালত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। অনেকদিন ছুটির কারণে দিন মজুর/রিকশাচালক/দৈনিক আয়ের বিভিন্ন লোকদের সংকটের কথা বিবেচনা করে সরকারি অর্থ/খাদ্য দেওয়া হচ্ছে। এমনকি ব্যবসা বাণিজ্যের মন্দা বিবেচনা করে ব্যবসায়িদের আর্থিক প্রণোদনা ঘোষণা করা হয়েছে। ’
মনজিল মোরসেদ বিজ্ঞপ্তিতে আশা প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশের হাজার হাজার আইনজীবীর জন্য অন্য পেশার মতোই সরকারের পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতার কর্মসূচি প্রণয়ন করা হবে এবং ৩শ কোটি টাকা আর্থিক প্রণোদনা তহবিল গঠন করে প্রত্যক জুনিয়র/ক্ষতিগ্রস্ত আইনজীবীকে এক লাখ টাকা করে বিনা সুদে প্রদান এবং ২০২১ সালে ৪ কিস্তিতে উক্ত টাকা পরিশোধ করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০১৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০২০
ইএস/এএ