একদিনের রিমান্ড শেষে শনিবার (৪ এপ্রিল) তাকে আদালতে হাজির করে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। অপরদিকে আসামিপক্ষে আইনজীবী জামিন আবেদন করেন।
গত ১ এপ্রিল কদমতলী থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় নাইমকে সিআইডি গ্রেফতারের পর একদিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত।
গত ২৯ মার্চ সিআইডির সাইবার মনিটরিং টিম একটি বিভ্রান্তিকর পোস্ট শনাক্ত করে। ‘শনির আখড়ায় করোনা ভাইরাসে ২৭ জন মারা গেছে’ এমন তথ্য উল্লেখিত পোস্টটি প্রচুর পরিমাণে লাইক-শেয়ার হয়। এর পরই তদন্তে নামে সাইবার পুলিশের একটি বিশেষ টিম।
অবশেষে প্রযুক্তিগত সহায়তায় সেই গুজব পোস্টকারী নাইমুর রহমান ওরফে নাইমকে যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে রাজধানীর কদমতলী থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর সিআইডি জানায়, নাইম ওই আইডিটি হ্যাক করেছেন। আইডির আসল মালিক তার একসময়ের বন্ধু ছিলেন। পরবর্তীতে তাদের মধ্যে বাদানুবাদের এক পর্যায়ে তিনি নাইমকে মারধর করেন।
এতে প্রতিশোধপরায়ন হয়ে গত ২৩ মার্চ নাইম তার বন্ধুর আইডি হ্যাক করতে সক্ষম হন। ২৯ মার্চ ওই আইডিতে বর্তমান পরিস্থিতির সুযোগে গুজব সম্বলিত পোস্টটি করেন নাইম।
এখানেই শেষ নয়, তিনি অন্য একটি ভুয়া আইডি তৈরি করে সাইবার পুলিশের পেজে গুজবের পোস্ট সম্পর্কে তথ্য দেন। যাতে আইডির আসল মালিক গ্রেফতার হয়ে যান। তবে সাইবার পুলিশের তদন্তের জালে ধরা পড়েন নাইম নিজেই।
গ্রেফতারের সময় নাইমের মোবাইলসহ বিভিন্ন ডিভাইস জব্দ করেছে সাইবার পুলিশ সেন্টার। তিনি একজন পেশাদার হ্যাকার। টাকার বিনিময়ে এর আগেও তিনি ফেসবুক হ্যাকিংয়ের কাজ করেছেন। তার ডিভাইসে সেসব অপরাধের বিভিন্ন তথ্য পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০২০
কেআই/আরবি