বুধবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ মো. হেলাল চৌধুরী বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে এ পরোয়ানা ইস্যু করেন।
এদিন সকালেই রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল প্রথমে মাজেদকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন।
এরপর আদালত মাজেদের বিরুদ্ধে প্রডাকশন ওয়ারেন্ট (হাজিরা পরোয়ানা) ইস্যু করলে তাকে কেরানীঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পুরান ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হয়। এসময় আদালত প্রথমে তাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
এরপর রাষ্ট্রপক্ষ তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা ইস্যুর আবেদন করে। এসময় বিচারক সাজা পরোয়ানা পড়ে শোনালে মাজেদ নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। পরে তার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের সাজা পরোয়ানা জারির আবেদন মঞ্জুর করে আদেশ দেন ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ মো. হেলাল চৌধুরী।
এর আগে মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে নেওয়া হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর তাকে কেন্দ্রীয় কারাগারের ফাঁসির সেলে রাখা হয়।
সোমবার (৬ এপ্রিল) দিনগত রাত ৩টার দিকে মিরপুর থেকে মাজেদকে গ্রেফতার করা হয়।
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আব্দুল মাজেদসহ ১২ আসামিকে ২০০৯ সালে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যে সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশীদ খান, বজলুল হুদা, এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ ও মুহিউদ্দিন আহমেদের ফাঁসি ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি কার্যকর হয়।
রায় কার্যকরের আগে ২০০২ সালে পলাতক অবস্থায় জিম্বাবুয়েতে মারা যান আসামি আজিজ পাশা। আব্দুল মাজেদ গ্রেফতার হওয়ার পর বর্তমানে পলাতক রয়েছেন পাঁচজন। পলাতক আসামিরারা হলেন- খন্দকার আবদুর রশীদ, শরিফুল হক ডালিম, এস এইচ এম বি নূর চৌধুরী, এ এম রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেম উদ্দিন। তারা সবাই সাবেক সেনা কর্মকর্তা। তারা বিভিন্ন দেশে পালিয়ে আছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০২০
কেআই/এএ