এদিকে বাকিদেরও মৃত্যুদণ্ডের রায় কার্যকর করতে পারবেন বলে আশাবাদী আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
১৯৯৮ সালের ৮ নভেম্বর ঢাকার তৎকালীন দায়রা জজ কাজী গোলাম রসুল ১৫ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়ে রায় ঘোষণা করেন।
এরপর বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে যায়। ২০০৯ সালের ১৯ নভেম্বর আপিল বিভাগ আসামিদের আপিল খারিজ করেন। প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়া শেষে ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি দিনগত রাতে খুনি সৈয়দ ফারুক রহমান, বজলুল হুদা, একেএম মহিউদ্দিন আহমেদ, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান ও মুহিউদ্দিন আহমেদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
এর মধ্যে ২০০১ সালের জুনে জিম্বাবুয়েতে মারা যান অন্য মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত খুনি আজিজ পাশা। পলাতক থেকে যায় ছয়জন। এদের মধ্যে দীর্ঘদিন পর বিভিন্ন দেশে পালিয়ে থাকা আব্দুল মাজেদ ঢাকায় গত ৭ এপ্রিল গ্রেফতার হন। প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়া শেষে শনিবার (১১ এপ্রিল) দিনগত রাতে তার মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর করা হয়।
পালিয়ে থাকা বাকি ৫ জনের মধ্যে নুর চৌধুরী ও রাশেদ চৌধুরীকে কানাডা এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরাতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয় সরকার। যা চলমান রয়েছে। বাকি তিনজনের মধ্যে গণমাধ্যমের খবর অনুসারে খন্দকার আব্দুর রশিদ বিভিন্ন সময় লিবিয়ায় বা পাকিস্তান, শরিফুল হক ডালিম পাকিস্তান এবং মোসলেমউদ্দিন জার্মানিতে অবস্থান করছেন। তবে এসব তথ্যে এখনো স্পষ্ট নয়।
এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আমি আগেও বলেছি, যারা বাইরে আছেন, ইনশাআল্লাহ আমরা তাদের সবাইকে দেশে এনে রায় কার্যকর করবো।
১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট ধানমন্ডি ৩২ নম্বর রোডে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবার নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। এর মধ্যে বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। দীর্ঘদিন পরে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল হলে ২ অক্টোবর ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত সহকারী মহিতুল ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২০
ইএস/এএটি