রোববার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় করা এ সেমিনারে আলোচনায় অংশ নেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, ব্যারিস্টার অনীক আর হক, ব্যারিস্টার জুনায়েদ আহমেদ চৌধুরী, ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম ও ব্যারিস্টার সাকিব মাহবুব।
সেমিনারটি পরিচালনা করেন আনাম হোসেন।
সেমিনারে ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, প্রধান বিচারপতির সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছি, আমি ওনাকে আমার এই ধরনের ভার্চুয়াল জুডিশিয়ারি সিস্টেম চালু করার জন্য যেসব প্রতিবন্ধকতা আছে সে বিষয়ে তুলে ধরেছি। আমরা যা কিছু বলি না কেন এটা কার্যকর হবে প্রধান বিচারপতির মাধ্যমে কিংবা সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের মাধ্যমে। এখানে কতগুলো প্রতিবন্ধকতার কথা উনি আমাকে বলেছেন। সেগুলো হলো হাইকোর্ট রুলসে আছে কোনো মামলা করতে গেলে তা হবে লিখিত আবেদনের ভিত্তিতে। আমরা যে ভার্চুয়াল সিস্টেম চাচ্ছি তার বড় বাধা হাইকোর্ট রুলস। সুতরাং সেটা সংশোধন করতে হবে।
তিনি বলেন, কোর্ট ছুটির মধ্যে শেষ দিন একটি বেঞ্চ বলেছিলেন আইনজীবী ছাড়া শুনানি করবেন। কোর্ট বলেছেন আপনারা দরখাস্ত দিয়ে যাবেন। দরকার হলে আইনজীবীর সঙ্গে আমরা কথা বলবো। এটা একটা বড় ধরনের পদক্ষেপ।
ভার্চুয়াল কোর্ট পরিচালনায় অন্য দেশের উদাহরণ তুলে ধরে সুপ্রিম কোর্ট বারের সম্পাদক বলেন, ইতোমধ্যে ভারত ও পাকিস্তান এটা করেছে। এরা আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ। উন্নত বিশ্বের যুক্তরাজ্য নিউজিল্যান্ড ইউএসএও করেছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে এটা করার পক্ষে। দীর্ঘদিন ধরে কোর্ট বন্ধ থাকায় আইনজীবীরা পেশাগতভাবে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তেমনি সাধারণ মানুষ ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এখন তার মধ্য থেকে একটা ওয়ে আউট বের করতে হবে।
ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, আমি প্রধান বিচারপতিকে এও বলেছি দরখাস্ত আমরা একটা জায়গায় রেখে আসবো, ছোটখাটো জামিনের দরখাস্ত বা সাংবিধানিক কোনো বিষয়। আপনি কোনো বিচারপতিকে এটা অ্যাসাইন করে দিতে পারেন কিনা। উনি অত্যন্ত সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন তবে, তিনি সহকর্মীদের সঙ্গে বসে এসব বিষয় বিবেচনা করবেন বলে জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০২০
ইএস/এএটি