গত শনিবার (১৮ এপ্রিল) স্বীকারোক্তি দেওয়ার পর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। সোমবার (২০ এপ্রিল) শেরেবাংলা নগর থানার সাধারণ নিবন্ধন (জিআর) শাখা থেকে এ তথ্য জানা যায়।
স্বীকারোক্তিতে আসামিরা জানান, নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে ওই ভবনে কাজ করছিলেন তারা। করোনার কারণে বন্ধ হয়ে যায় ভবনের নির্মাণ কাজ। এ অবস্থায় তারা বাড়ি যাওয়ার সময় পাওনা মজুরি নিয়ে ঝামেলা হয়। তাই পানির পাম্প ও বেশ কয়েক কয়েল নতুন বৈদ্যুতিক তার চুরির সিদ্ধান্ত নেয় আসামিরা। তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাধা হিসেবে দেখতে পান কেয়ারটেকার আনোয়ার হোসেনকে (৫৫)। তাই তাকে খুনের পরিকল্পনা করেন আসামিরা।
পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ১৩ এপ্রিল রাত আনুমানিক ১০টার দিকে ভবনের উপর থেকে নিচে নামেন এই পাঁচজন। একজন পাহারা দিতে থাকে মূল গেট। অপর চারজন গল্প করার ছলে ঢুকে পড়ে একা থাকা আনোয়ারের ঘরে। গল্পের এক পর্যায়ে তারা ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় আনোয়ারকে। বেঁধে ফেলে তার হাত, পা ও মুখ।
এরপর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ভবনের আট তলায়। নাক ও মুখের বাঁধন বেশি শক্ত থাকায় নিস্তেজ হয়ে পড়েন আনোয়ার। কিছুক্ষণের ভেতর মারা যান তিনি। পরে মরদেহ ৮ তলায় রেখেই শেষ রাতে আনোয়ারের মোবাইল ফোনটি নিয়ে পালিয়ে যায় পাঁচজন।
গত ১৩ এপ্রিল সন্ধ্যায় মোবাইলে সবশেষ গ্রামের বাড়িতে থাকা পরিবারের সঙ্গে কথা হয় আনোয়ারের। এরপর দু’দিন পার হয়ে গেলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পেয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন স্ত্রী। বাড়ির মালিকও আনোয়ারের ফোন বন্ধ পান।
গত ১৫ এপ্রিল সকালে একটি ফোন পেয়ে পুরান ঢাকা থেকে ওই ভবনে গিয়ে ৮ম তলার একটি কক্ষে পা বাধা অবস্থায় আনোয়ারের বিকৃত হয়ে যাওয়া মরদেহ দেখতে পান বাড়ির মালিক। সংবাদ পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। পরে এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০২০
কেআই/এএ