বুধবার (২২ এপ্রিল) সমিতির সভাপতি ইকবাল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক হোসেন আলী খান হাসান স্বাক্ষরিত এই চিঠিটি প্রধান বিচারপতির দফতরে পাঠানো হয়।
চিঠির একটি অনুলিপি সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল এবং আইন মন্ত্রণালয়ের সচিবকেও দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাস বর্তমান বিশ্বে মহামারি আকার ধারণ করে জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাংলাদেশেও প্রভাব বিস্তার করায় দীর্ঘদিন ধরে আদালত বন্ধ রয়েছে। তাই কারাগারে থাকা বিচারপ্রার্থী আসামিরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন এবং বিচারপ্রার্থী ব্যক্তিদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। এমতাবস্থায় আইনের শাসন ও বিচার ব্যবস্থার কার্যক্রম চলমান রাখতে সংশ্লিষ্ট আদালতসমূহ আংশিকভাবে হলেও খোলা রাখা প্রয়োজন। কেননা ভুক্তভোগী ব্যক্তি কিংবা আইনজীবীদের সেবা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করে যাচ্ছেন। কিন্তু আদালত বন্ধ থাকায় আইনজীবীদের ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও আইনের সেবা দিতে পারছেন না, তথা আইনপেশা স্থবির হয়ে পড়ছে। এমতাবস্থায় ঢাকার দেওয়ানী ও ফৌজদারী আদালতসমূহের নিষেধাজ্ঞা ও জামিনের দরখাস্ত এবং অতীব জরুরি বিষয় নিষ্পত্তির জন্য সংশ্লিষ্ট আদালতসমূহ আংশিকভাবে খুলে দেওয়ার জন্য আপনার সদয় বিবেচনার জন্য বিনীত অনুরোধ করছি।
করোনার প্রাদুর্ভাবের মধ্যে চলমান সাধারণ ছুটি আগামী ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এ অবস্থায় আদালতের কাযক্রম কি হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের সঙ্গে বসবেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৮০৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২০
কেআই/এএটি