বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) মেইল যোগে এ নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জে. আর. খান (রবিন)।
নোটিশের অনুলিপি জনপ্রশাসন, অর্থ ও স্বাস্থ্য সচিব (স্বাস্থ্য সেবা) বরাবরে পাঠানো হয়েছে।
‘একাধিক দৈনিক পত্রিকা ও নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত খবরের আলোকে জানতে পারি করোনা মোকাবেলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ যথাযথ প্রদক্ষেপ নিতে প্রতিনিয়ত ব্যর্থ হচ্ছেন। এ ব্যর্থতার কারণে ২২ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের ১৭০ জন ডাক্তার, ১০০ জন পুলিশ, ২৮ জন সাংবাদিক ৭ জন প্রশাসনিক কর্মকর্তা, নার্সসহ ৩৩২৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ইতোমধ্যে ১১০ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। ’
তিনি বলেন, ‘এ ভাইরাস ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি এবং এক গোষ্ঠী থেকে অন্য জনগোষ্ঠীতে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও ডাক্তারদেরকে ইতিপূর্বে স্বয়ংসম্পূর্ন বা কার্যত ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জামাদি অর্থাৎ পিপিই সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। তাছাড়া ডিসিপ্লিনারী ফোর্স, সাংবাদিক ও করোনা মোকাবিলায় সংশ্লিষ্টদের জন্য যথাযথ ব্যক্তিগত নিরাপত্তার সরঞ্জামাদির ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। যদিও দেশের সকল মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার লক্ষ্যে যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার ক্ষেত্রে তিনি ক্ষমতাবান ও দায়িত্বশীল বটে। এর দায় তিনি কোনভাবে এড়াতে পারবেন না। ’
জে আর খান রবিন আরও বলেন, বাংলাদেশ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৫ (ক), ১৮ (১) এবং ৩২ অনুচ্ছেদে স্বাস্থ্য সেবার ব্যাপারে উল্লেখ রয়েছে। ৩২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী স্বাস্থ্য সেবা মানুষের মৌলিক অধিকার, যা নিশ্চিত করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের।
‘সার্বিক বিবেচনায় প্রফেসর মো. আবুল কালাম আজাদ তার পদ থেকে পূর্বেই পদত্যাগ করা যুক্তিযুক্ত ছিল। কিন্তু তিনি তা করেন নাই, তাই অত্র নোটিশ প্রেরণ করে নোটিশ প্রাপ্তির পর যত শিগগির সম্ভব পদত্যাগ করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অন্যথায় তার বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে এবং তার অবিচক্ষন কার্যকালাপের জন্য সৃষ্ট সব ধরনের ক্ষতির জন্য তিনি দায়ী থাকবেন। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩,২০২০
ইএস/ওএফবি