রোববার (২৬ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস তাকে জামিন দেন। শনিবার (২৫ এপ্রিল) মিরপুর-১০ নম্বর সেকশনে রক্তমাখা পলিথিন হাতে ওই যুবককে দেখে সন্দেহ হলে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা।
রোববার রমজানকে আদালতে হাজির করে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক শিপন আলী শেখ। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে একই বিচারক তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
এরপর রমজানের আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করলে তা মঞ্জুর করা হয়। মিরপুর থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আসাদুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাজিরুর রহমান জানান, জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করে কেউ একজন বিষয়টি পুলিশকে জানান। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পলিথিনে মোড়ানো এক নবজাতকের মরদেহসহ ওই যুবককে আটক করে।
আটক যুবকের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, মিরপুর-১০ নম্বরের বুশরা ক্লিনিকের একজন রমজানকে ডেকে নিয়ে ওই পলিথিনটি ফেলে দেওয়ার জন্য দেন। এর বিনিময়ে তাকে ৩০০ টাকা দেওয়া হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ওই ক্লিনিকে গর্ভপাতের পর অপরিণত শিশুটির মরদেহ ফেলে দিতে রমজানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
** নবজাতকের মরদেহ ফেলতে গিয়ে যুবক আটক
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২০
কেআই/ওএইচ/