মৃত চিকিৎসক বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. এম এ আজাদ সজলের ছোট ভাই ডা. শাহারিয়ার উচ্ছ্বাস বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় এ মামলাটি দায়ের করেছেন।
মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার মো. রাসেল ও কোতোয়ালি মডেল থানার (ওসি-অপারেশন) মো. মোজাম্মেল হক।
তারা জানান, অজ্ঞাতপরিচয় একাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে এ মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে লিফটের নিচ থেকে ওই চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেওয়া ৯ জনকে থানা পুলিশ তাদের হেফাজতে রেখেছে। পাশাপাশি ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের সদস্যদের কাছে ডা. এম এ আজাদ সজলের মরদেহ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ডা. এম এ আজাদ গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরের স্বরুপকাঠিতে আর তার পরিবার (দুই সন্তান ও স্ত্রী) ঢাকায় থাকেন। বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চাকরির সুবাদে তিনি বরিশালেই থাকতেন। প্রাইভেট প্র্যাকটিসের পাশাপাশি মমতা স্পেশালাইজড হাসপাতালের সাততলার একটি কক্ষে (ডরমিটরিতে) বছরখানেক ধরে বসবাস করতেন তিনি।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সেহেরির সময় তার স্ত্রী ঢাকা থেকে ফোনে যোগাযোগ করে না পাওয়ায় মমতা স্পেশালাইজড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার রুমে তালা দেওয়া দেখে পুলিশে খবর দেয়। সকালে পুলিশের উপস্থিতিতে ওই কক্ষের তালা ভাঙা হয়, তবে সেখানে তার চশমা ও মোবাইল ছাড়া কিছুই পাওয়া যায়নি। এরপর খোঁজাখুজি করে হাসপাতালের নিচতলায় লিফটের নিচে তার মরদেহ দেখতে পান মমতা হাসপাতালের এক কর্মী।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২০
এমএস/এএটি