রোববার (৩ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বাকী বিল্লাহ এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। টুটুলকে এ দিন আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে কদমতলী থানা পুলিশ।
এর আগে গত শুক্রবার রাতে পুলিশ টুটুলকে গ্রেফতার করে। তার বাসা মুগদা এলাকায়। তবে সে মাঝে মধ্যে কদমতলীতে তার নানা ও খালার বাসায় ঘুরতে আসতো।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত ২৫ এপ্রিল কদমতলীর মুরাদনগর এলাকায় ছয় বছরের একটি শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনায় শিশুটির বাবার দায়ের করা মামলার ভিত্তিতে কয়েকদিনের টানা প্রচেষ্টায় ধর্ষক টুটুলকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারের পর ডিএমপির শ্যামপুর জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) শাহ আলম বাংলানিউজকে বলেন, শিশুটি ধর্ষণের ঘটনার পর থেকেই ধর্ষককে ধরতে তৎপরতা শুরু করে পুলিশ। ঘটনাস্থল ও তার আশপাশের বিভিন্ন ভবনের ১৬টি সিসিটিভি ক্যামেরার গত ২০ থেকে ২৫ এপ্রিলের ফুটেজ আমরা সংগ্রহ করি। ঘটনাস্থলের কাছেই একটি বাসার সিসিটিভির ফুটেজে মাস্ক পরিহিত এক যুবককে ওই শিশুটির হাত ধরে যেতে দেখা যায়। পরে যুবকটি ওই এলাকার কিনা বিষয়টি নিশ্চিত হতে আমরা অন্য ফুটেজগুলোও বিশ্লেষণ করি। কোনো ফুটেজে গত কয়েকদিনে এলাকার কারও সঙ্গে তার যোগাযোগ হয়েছে কিনা বিষয়টি যাচাই করি। ফুটেজে দেখা মাস্ক পরিহিত ওই যুবকের ছবি এলাকার লোকজনকে দেখালেও কেউ শনাক্ত করতে পারছিলেন না।
তিনি আরও বলেন, একেতো ভিডিও ফুটেজে চেহারা স্পষ্ট দেখা যায় না, তার মধ্যে করোনার সময়ে মাস্ক পরিহিত থাকায় কোনোভাবেই বোঝা যাচ্ছিল না। তখনই পূর্ব পরিচিত প্রফেশনাল আর্টিস্ট দিয়ে স্কেচ আঁকিয়ে আনি। শুক্রবার সকালে স্কেচটি প্রিন্ট করিয়ে সেটি পুরো এলাকায় ছড়িয়ে দেই। স্কেচ থেকে স্থানীয় কয়েকজন ওই ধর্ষককে শনাক্ত করতে সক্ষম হন। এরপর কদমতলী এলাকায় টানা ছয় ঘণ্টার চিরুনি অভিযানের পর আমরা আসামি টুটুলকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই।
তিনি জানান, গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।
** পেন্সিলে আঁকা স্কেচে ধর্ষক ধরলো পুলিশ
বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০২০
কেআই/ওএইচ/