ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

শিক্ষার্থীদের বেতন মওকুফ করতে শিক্ষা সচিবকে অনুরোধ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩২ ঘণ্টা, মে ৪, ২০২০
শিক্ষার্থীদের বেতন মওকুফ করতে শিক্ষা সচিবকে অনুরোধ

ঢাকা: সব সরকারি-বেসরকারি স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায়যোগ্য মাসিক বেতনের অর্ধেক পরিমাণ মওকুফ করতে শিক্ষাসচিব বরাবর অনুরোধ জানিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের দুই আইনজীবী।

মানবাধিকার ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ল' অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির পল্লব ও ব্যারিস্টার মোহম্মদ কাউসার ইমেইলযোগে এ আবেদনের মাধ্যমে এ অনুরোধ জানান।

পরে সোমবার (৪ এপ্রিল) হুমায়ুন কবির পল্লব আবেদন থেকে উল্লেখ করে জানান, বর্তমান সময়ে করোনা একটি আতঙ্কের নাম এবং সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও এই করোনা পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়ানক ও দুর্যোগপূর্ণ অবস্থায় পতিত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন। একই সঙ্গে দেশের সাধারণ ছুটি চলছে দীর্ঘদিন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সবকিছু বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীরা স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটিতে যেতে পারছে না এবং পড়াশোনার ব্যাঘাত ঘটছে।

একই সঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও কিন্তু তাদের সেবা এই শিক্ষার্থীদের দিতে পারছে না। অর্থাৎ শিক্ষার্থীদের কোনো ধরনের পড়াশোনা করানো সম্ভব হচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো তাদের শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে পারছে না এবং শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষা গ্রহণ করতে পারছে না বা সেবা পাচ্ছে না।

এ অবস্থায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাদের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মাসিক টিউশন ফি আদায় করতে পারে কিনা কিংবা শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে এই দাবি উঠেছে যে যেহেতু শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, পড়াশোনা করতে পারছে না স্কুলে গিয়ে এবং শিক্ষকরা পড়াশোনা করাতে পারছেন না, তাই তারা স্কুল কর্তৃপক্ষকে তাদের মাসিক টিউশন ফি দিতে বাধ্য কিনা।

তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কোথাও কোথাও মাসিক বেতন মওকুফ করেছে। কোনো প্রতিষ্ঠান তাদের মাসিক বেতন আংশিক মওকুফ করেছে। যেটা অত্যন্ত সময়োপযোগী, যুক্তিসঙ্গত এবং মানবিক। কিন্তু বাংলাদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখনো শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে চাপ দিয়ে বাধ্যতামূলকভাবে টিউশন ফি আদায় করছে। আদায় করতে না পারলে নোটিশ দেওয়া হয়েছে তাদের আগামীতে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে না এবং স্কুল থেকে বহিষ্কার করা হবে। এ ধরনের কিছু ঘটেছে।

ব্যারিস্টার পল্লব আরও বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জনস্বার্থে সরকারের একটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।  

জনস্বার্থে ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন বিনীতভাবে প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষা সচিব ও সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে বিনীতভাবে আবেদন করছে এমন পরিস্থিতিতে একটি যুক্তিযুক্ত সিদ্ধান্ত দেওয়া হোক যাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চলমান থাকে এবং সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরাও কিছুটা আর্থিকভাবে স্বস্তি বোধ করেন।  

বাংলাদেশ সময়:১৬২৫ ঘণ্টা, মে ০৪,২০২০
ইএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।