ওই এলাকার ২৬ বাসিন্দার পক্ষে মঙ্গলবার (৫ মে) স্বরাষ্ট্র সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব, ত্রাণ ও দুর্যোগ সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক ও শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) ইমেইল যোগে নোটিশ পাঠান আইনজীবী ইশরাত হাসান।
আইনজীবী ইশরাত হাসান জানান, চাল উদ্ধারের ঘটনায় ইতোমধ্যে একজন বাসিন্দা ইমেইলে এজাহার পাঠিয়েছেন।
এর আগে গত ২৪ এপ্রিল কৈজুরী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হারুনার রশিদের পাঠানো এজাহারে বলা হয়েছিলো-আমাদের ১০ নম্বর কৈজুরী ইউনিয়নে করোনা ভাইরাসের পরিস্থিতিতে গরিব ও অসহায়দের জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারের পক্ষ থেকে চাল বরাদ্দ করা হয়েছিল। উক্ত চাল থেকে ২০ বস্তা চাল ১০ নম্বর কৈজুরী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, ডিলার আলাউদ্দিন এবং জনৈক আয়াত উল্লাহ ও অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা পরস্পর যোগসাজশে কালোবাজারে বিক্রির উদ্দেশে আত্মসাৎ করে। পরবর্তীতে গত ১৯ এপ্রিল রোববার সন্ধ্যায় কৈজুরী ইউনিয়নের গোপালপুর মোড় সংলগ্ন আয়াত উল্লাহর বাড়ি থেকে এ ত্রাণের চাল উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সেখানে উপস্থিত হন। তারা উদ্ধার করা চাল নিয়ে যান। সাইফুল ইসলাম, ডিলার আলাউদ্দিন. আয়াত উল্লাহসহ অজ্ঞাতনামা আসামীরা পরস্পর যোগসাজশে কালোবাজারে বিক্রির উদ্দেশে সরকারি ত্রাণের চাল মজুদ করেছিল যা ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন অনুসারে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। গরীব ও অসহায় জনগণ চালের দাবিতে এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। কিন্তু প্রভাবশালী আসামিদের বিরুদ্ধে কেউ মামলা করতে সাহস পাচ্ছে না। আওয়ামী লীগের কৈজুরী ইউনিয়ন শাখার সভাপতি হিসেবে ভুক্তভোগী ত্রাণ বঞ্চিত জনগণের অনুরোধে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এজাহার দায়ের করলাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৬ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০২০
ইএস/আরআইএস