মঙ্গলবার (৫ মে) শুরু হয়েছে এ ঋণ বিতরণ। সদস্যদের কাছ থেকে লিখিত অঙ্গীকার নিয়ে এক বছরের জন্য বিনাসুদে এ ঋণ দেওয়া হচ্ছে।
চার ক্যাটাগরিতে পাঁচ হাজার ৪৮৫ জন আইনজীবী এ ঋণ পাবেন। সোমবার বৈধ আবেদনকারী সদস্যদের নম্বর ঢাকা বারের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। কে কোন দিন ঋণ নিতে পারবেন তা আগেই মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেই অনুযায়ী প্রথম দিনে সাড়ে ৭শ মতো সদস্যকে ডাকা হলেও ৩৩৮ জন সদস্য ঋণ নিয়েছেন বলে জানান সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হোসেন আলী খান হাসান।
তিনি বলেন, পরবর্তী দিনগুলোতে প্রতিদিন এক হাজার করে সদস্যের মধ্যে ঋণ বিতরণ করা হবে। সেই হিসেবে আগামী ১৫ মে'র আগেই ঋণ বিতরণ শেষ হবে বলে আশা করছি।
ঢাকা বারের কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট সাব্বির হাসান জানান, প্রথমদিনে ৭৫০ জনের মতো আমরা ডেকেছিলাম, এখানে ২৫ বছরের বেশি সময় যাদের সদস্য হওয়ার বয়স এমন ৩৩৫ জন ও সবশেষ এনরোলড হওয়া ৪০০ জনের মতো রয়েছেন। তাদের মধ্যে মঙ্গলবার টাকা নিয়েছেন ৩৩৮ জন। দ্বিতীয় ধাপে আমরা সবশেষ ২০১৮ সালে এনরোলড হওয়া ১৩৪০ জনের মতো এসএমএস করার টার্গেট করেছি। তারা বৃহস্পতিবার টাকা নিতে পারবেন। সাপ্তাহিক ছুটি বাদে আগামী ১৫ মে পর্যন্ত কর্মদিবসগুলোতে ঋণ বিতরণ কার্যক্রম চলবে।
গত ৩০ এপ্রিল ঢাকা আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চার ক্যাটাগরিতে সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা পাবেন সদস্যরা। যাদের সদস্য হওয়ার বয়স ১ থেকে ৫ বছর তারা ২০ হাজার টাকা করে পাবেন। এমন আবেদনকারী এক হাজার ৮০০ জন। যাদের সদস্য হওয়ার বয়স ৫ থেকে ২৫ বছর, তারা পাবেন ২৫ হাজার টাকা। এমন আবেদনকারী দুই হাজার ৮৯০ জন। আর যাদের সদস্য হওয়ার বয়স ২৫ বছরের বেশি তারা পাবেন ৩০ হাজার টাকা। এমন আইনজীবী ৩৩৫ জন। যাদের বেনেভোলেন্ট ফান্ডে টাকা নেই, তারা পাবেন ১০ হাজার টাকা। এমন আইনজীবী ৪৬০ জন।
এর আগে ঢাকা আইনজীবী সমিতির কোষাধ্যক্ষ অ্যাডভোকেট আব্দুল আল মামুন জানান, বিনাসুদে ঋণের জন্য সাত হাজার ৫১১ জন তালিকাভুক্ত সদস্য আবেদন করেছিলেন। এর মধ্যে অনেকে একাধিকবারও আবেদন করেছেন। যাচাই-বাছাই শেষে পাঁচ হাজার ৪৮৫ জন ঋণের জন্য বিবেচিত হয়েছেন।
গত ১৩ এপ্রিল অনলাইনে সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০২০
কেআই/ওএইচ/