মঙ্গলবার (১২ মে) চারটি মামলার শুনানির মধ্য দিয়ে ডিজিটাল এ কার্যক্রম চালু হয় জেলায়। প্রথম দিনের চারটি মামলার শুনানি করেন ঠাকুরগাঁও বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ মামুনুর রশিদ।
রানীশংকৈল কাশিপুর চিকনমাটি গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে আব্দুল করিমের মিস কেস মামলায় জামিনের আদেশ দেন তিনি। শুনানিতে সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট শেখর কুমার রায় ও আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি বকুল নিজ চেম্বারে বসেই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মামলার কাজ পরিচালনা করেন।
তথ্য প্রযুক্তির বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে ডিজিটাল পদ্ধতিতে (যেমন: ই-মেইল আইডি, মোবাইল নম্বর) চিহ্নিত করে আইনজীবীরা স্ব স্ব পরিচয় জমা দেওয়ার মাধ্যমে মামলার কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন। এক্ষেত্রে মামলা শুনানির ১৫ মিনিট আগেই জরুরি সংশ্লিষ্ট ধাপসমূহ অনুসরণপূর্বক আদালতে ই-ফাইলিংয়ের মাধ্যমে জামিনের আবেদন দাখিল করবেন আইনজীবীরা। ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে আদালতের কার্যক্রম চালানোর এ পদক্ষেপকে যুগান্তকারী হিসেবে বর্ণনা করেছেন জেলার সাধারণ মানুষ।
গত বছরের ৬ এপ্রিল ফেনীর সোনাগাজীতে মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহানকে আলিম পরীক্ষা কেন্দ্রে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এর তিনদিন পর ১০ এপ্রিল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত মাদ্রাসার বরখাস্ত হওয়া অধ্যক্ষ এমএম সিরাজ-উদ-দৌলাসহ ১৬ জন আসামির প্রত্যেককে মৃত্যুদণ্ড দেন বর্তমান ঠাকুরগাঁও জেলা ও দায়রা জজ মামুনুর রশিদ। ওই সময়ে তিনি ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ০১২৫ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০২০
এসআরএস