আদালত সূত্র জানায়, মঙ্গলবার (১২ মে) থেকে খুলনায় ভার্চ্যুয়াল কোর্ট চালু হলেও বুধবার (১৩ মে) থেকে আদালতগুলোতে আনুষ্ঠানিকভাবে শুনানি শুরু হয়েছে।
শুনানিতে আইনজীবীরা তাদের মক্কেলদের পক্ষে অংশগ্রহণ করছেন।
ভার্চ্যুয়াল আদালত শুরুর পর আইনজীবীদের মধ্যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। ভার্চ্যুয়াল আদালতে মামলা ফাইল করার পদ্ধতি কী হবে? আত্মসমর্পণকারী আসামি জামিন না পেলে জেলে নেওয়ার বিধান কি? রায়ে খালাস না পেলে আসামিকে কী উপায়ে জেলে নেওয়া হবে? সাক্ষীর জেরা চলমান অবস্থায় ডকুমেন্ট প্রদর্শনী করার বিধান কি? ওকালতনামা আদালতে দাখিলের উপায় কি? প্রভৃতি বিষয়ে বিভ্রান্তি দেখা দেয়।
খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সাবেক সদস্য অ্যাডভোকেট এম এম মুজিবর রহমান বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানের সীমাবদ্ধতায় বেশিরভাগ আইনজীবী চরম বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন। তবে, বেশি বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন বয়স্ক আইনজীবীরা।
জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও মহানগর আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট কে এম ইকবাল হোসেন বলেন, ভার্চ্যুয়াল আদালতের নিয়মটি খুব সহজ। কিন্তু আমরা এতে খুব একটা অভ্যস্ত না বলে কেউ কেউ একটু অসুবিধার মধ্যে পড়েছেন। তবে, দু’একদিনের মধ্যে তারা এতে অভ্যস্ত হয়ে যাবেন। তিনি জানান, দুপুর ১টা পর্যন্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত থেকে ৬ থেকে ৭টি জামিন হয়েছে।
খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, গত মঙ্গলবার থেকে খুলনায় ভার্চ্যুয়াল কোর্ট চালু হয়েছে। তবে বুধবার থেকে আদালতগুলোতে আনুষ্ঠানিকভাবে শুনানি শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, নারী ও শিশু আদালত এবং সিভিল কোর্ট বাদে অন্যান্য আদালত চলছে। অচিরেই ওই দু’টি কোর্টও চালু হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের আইনজীবীদের জন্য ২০টি কম্পিউটার রয়েছে। যারা তথ্যপ্রযুক্তিতে পিছিয়ে রয়েছেন, তারা এর সহায়তা নিতে পারবেন। তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে ভার্চ্যুয়াল কোর্ট চালু হওয়ায় মানুষ আইনের সহায়তা নিতে পারছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৩ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০২০
এমআরএম/ওএইচ/