বৃহস্পতিবার (১৪ মে) অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির স্বরাষ্ট্র ও আইন সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক ও আইজিপ্রিজন্স বরাবর এ নোটিশ পাঠান।
নোটিশ পাঠানোর পর তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্বকে প্রধান উপায় হিসেবে গণ্য করা হয়।
‘সব পর্যায়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। কিন্তু করোনা ভাইরাসে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা কারাবন্দিদের অবস্থা খুবই নাজুক। দেশের কারাগারগুলোতে ধারণক্ষমতার দিগুণেরও বেশি বন্দি রয়েছে। ’
সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুসারে দেশের ৬৮টি কারাগারে ৪১ হাজার ২৪৪ জন ধারণক্ষমতা হলেও বর্তমানে ৮৫ হাজার বন্দি অবস্থান করছে। কারা অভ্যন্তরের এই অবস্থায় বন্দিদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা বস্তুত অসম্ভব। ইতোমধ্যে ২৩ জন কারারক্ষী ও দু’জন বন্দির শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। গত ১২ মে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে একজন করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।
গবেষণায় প্রতীয়মান হয়, করাগারের সংকীর্ণ জায়গা সংক্রামক ব্যাধির উর্বর ক্ষেত্র। অধিকন্তু কারাবন্দিদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ নেই। কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা ও আদেশ-নিষেধ অনুযায়ী তাদের চলতে হয়।
এই প্রেক্ষাপটে কারাবন্দিদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কর্তৃপক্ষের উপর বর্তায়। যুক্তরাষ্ট্র, ইরান, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ হাজার হাজার বন্দি মুক্তি দিয়েছে। বাংলাদেশ সরকার প্রায় তিন হাজার বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। এটি অবশ্য প্রশংসনীয় উদ্যোগ। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে এটি যথেষ্ট নয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কারাবন্দি, কারারক্ষী ও কারা চিকিৎসকদের স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে দেশের বিভিন্ন কারাগার ও সংশোধনাগারে কারাবন্দিদের স্বাস্থ্যসুরক্ষা ও মুক্তির বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষের প্রস্তুতি এবং পদক্ষেপ সম্পর্কে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জানতে চাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মোহাম্মদ শিশির মনির।
বাংলাদেশ সময়: ১২২২ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২০
ইএস/এএ