একইসঙ্গে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে দায়িত্বরত ডাক্তার, নার্স ও অন্যদের চিকিৎসার জন্য প্রযোজনীয় পিপিই, গ্লোভস, সার্জিক্যাল মাস্ক, অন্য স্বাস্থ্য সুরক্ষার উপকরণের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (১৮ মে) বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের ভার্চ্যুয়াল কোর্ট এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
পরে মনজিল মোরসেদ জানান, বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে সব রোগীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার নির্দেশনা চেয়ে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস ফর পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে রিট দায়ের করা হয়। এ রিট মামলায় হাইকোর্ট দু’টি নির্দেশনা দিয়েছেন এবং শুনানির জন্য রেগুলার বেঞ্চে (ছুটি শেষে নিয়মিত আদালত) পাঠিয়েছেন।
‘আদালতে বলেছি, চিকিৎসার অভাবে মানুষের মৃত্যু মৌলিক অধিকারের লংঘন এবং বর্তমান পরিস্থিতিতে সাধারণ জ্বর, সর্দি, গলাব্যথা বা অন্য যে কোনো রোগের চিকিৎসা নিতে গেলে করোনার ভয়ে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের ডাক্তারদের চিকিৎসায় অনিহা দেখা যাচ্ছে। রোগীর চিকিৎসা যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি ডাক্তার ও নার্সদের নিরাপত্তাও গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু প্রাথমিকভাবে করোনা রোগী বাছাই করতে না পারলে সমস্যার সমাধান হবে না। ’
‘এরকম মহামারি প্রতিরোধে সংসদে আইন পাস করে উপদেষ্টা কমিটিকে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ) আইন-২০১৮ এর ৬ ধারা অনুসারে উপদেষ্টা কমিটে যথাযথ দায়িত্ব পালন করেছে কিনা তা নিশ্চিত হতে একটি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা প্রার্থনা করেছি। ’
শুনানি শেষে আদালত বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে দায়িত্বরত ডাক্তার, নার্স ও অন্যদের চিকিৎসার জন্য প্রযোজনীয় পিপিই, গ্লোভস, সার্জিক্যাল মাস্ক, অন্য স্বাস্থ্য সুরক্ষার আইটেমের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য বিবাদিদের নির্দেশনা দিয়েছেন।
এছাড়া এক সপ্তাহের মধ্যে মহামারি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে উপদেষ্টা কমিটির নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ ও সুপারিশ সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের জন্যও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জনান মনজিল মোরসেদ ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০২০
ইএস/এএ