বৃহস্পতিবার (২২ মে) চিকিৎসক এএসএম আব্দুন নূরের পক্ষে জনস্বার্থে বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্টে এ রিট জমা দিয়েছেন বলে জানান আইনজীবী ইয়াদিয়া জামান।
স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক,বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের সভাপতি ও রেজিস্ট্রার, বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতিকে বিবাদী করা হয়েছে।
রিট আবেদনে বলা হয়, গত ২ মে প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের এক স্মারকে বলা হয়, করোনা ভাইরাস মহামারি চলাকালে বাংলাদেশের সব মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল গভীর সঙ্কটের সম্মুখীন হয়ে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই সংগঠনের সদস্যভুক্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মচারীদের উৎসব বোনাস দেওয়া হবে না।
এপ্রিল মাসের বেতন যা মে মাসে দেওয়ার কথা তা সব অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষকদের মোট বেতনের ৬০ শতাংশ দেওয়া হবে। তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণির সব কর্মচারী তাদের শতভাগ বেতন পাবেন। কলেজ স্টাফ যারা অনুপস্থিত তার ৬০ শতাংশ বেতন পাবেন।
যেসব চিকিৎসক ও অন্য স্বাস্থ্যকর্মীরা হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টা কাজ করছেন, তাদের বেতনের শতভাগ দেওয়া হবে।
পরে ৪ মে সেটা প্রত্যাহার করে নেয়। প্রত্যাহার করা ওই স্মারকে বলা হয়, বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের গত ২ মে গৃহীত সিদ্ধান্ত মানবিক দিক বিবেচনা করে প্রত্যাহার করা হলো। এ বিষয়ে ভুল বোঝাবুঝির কোনো অবকাশ নেই।
বৃহস্পতিবার ইয়াদিয়া জামান বলেন, প্রায় ২০ হাজারের মতো চিকিৎসক বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে চাকরি করেন। তাদের যদি যথাযথ বেতন না দেয় তাহলে তারা ডিমোরালাইজড হয়ে যথাযথ চিকিৎসা দিতে সক্ষম হবেন না। আমরা তাই ৪ মে দেওয়া স্মারক বাস্তবায়ন চেয়ে রিট করেছি।
রিটে হাসপাতাল কর্মীদের পরিপূর্ণ বেতন এবং কর্তন ছাড়া বোনাস দিতে বাধ্য করতে বিবাদীদের প্রতি নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করা হয়েছে বলে জানান ইয়াদিয়া জামান।
তিনি আরও বলেন, ৪ মে তারা প্রত্যাহার করলেও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর আসে পরিপূর্ণ বেতন-বোনাস দিচ্ছে না। তাই রিট করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৯ ঘণ্টা, মে ২১, ২০২০
ইএস/এএ