গত ১০ মে নিম্ন আদালতের ভার্চ্যুয়াল কোর্টে শুধু জামিন শুনানি করতে নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে একটি চেম্বার আদালত এবং হাইকোর্ট বিভাগে চারটি ভার্চ্যুয়াল বেঞ্চ গঠন করা হয়।
এরপর থেকে নিম্ন আদালতে ভার্চ্যুয়াল কোর্টে জামিন শুনানি শুরু হয়।
শুক্রবার (২৯ মে) সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র মোহাম্মদ সাইফুর রহমান জানান, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অনুসারে সারা দেশে অধস্তন আদালতে ১০ কার্যদিবসে ভার্চ্যুয়াল শুনানিতে ৩৩ হাজার ২৮৭টি জামিন-দরখাস্ত নিষ্পত্তি এবং ২০ হাজার ৯৩৮ জন আসামির জামিন মঞ্জুর হয়েছে।
প্রথমবারের মতো ১১ মে কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এক আসামির জামিন মঞ্জুরের আদেশ দিয়েই এটি শুরু হয়।
৯ মে ভার্চ্যুয়াল কোর্টের শুনানির জন্য অধ্যাদেশ জারি করা হয়। পরদিন ১০ মে উচ্চ আদালতের সব বিচারপতিদের নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সে ফুল কোর্ট সভা করেন প্রধান বিচারপতি।
এরপর উচ্চ আদালতসহ অধস্তন আদালতে ভার্চ্যুয়াল শুনানিতে বিজ্ঞপ্তি জারি করে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। তারপর থেকে উচ্চ আদালতসহ সারাদেশে ভার্চ্যুয়াল কোর্টে বিচার কাজ অব্যাহত রয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী উচ্চ আদালতে রিট, ফৌজদারি ও কোম্পানি আইনসহ বিভিন্ন আইনের অধীনে আবেদনের বিচার কাজ এবং নিম্ন আদালতে শুধু জামিন শুনানি চলছে।
এর মধ্যে দফায় দফায় সাধারণ ছুটিরও মেয়াদ বাড়ানো হয়। সর্বশেষ গত ১৬ মে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে সাধারণ ছুটির মেয়াদ ৩০ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। তবে সরকার ৩০ মে’র পর সাধারণ ছুটি আর বাড়াচ্ছে না। এ অবস্থায় শনিবার (৩০ মে) বিচারপতিদের ফুলকোর্ট সভা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৬ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০২০
ইএস/এইচএডি