রোববার (৩১ মে) বেলা ১১টায় প্রথমে দাবির স্বপক্ষে স্বাক্ষরতা অভিযান শুরু হয়। এরপর বেলা ১২টার দিকে নিয়মিত আদালত চালুর দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়।
ঢাকা আইনজীবী সমিতি থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত এবং সিএমএম আদালত থেকে মহানগর দায়রা জজ আদালতের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ শেষ হয়।
এ সময় আদালতের নিয়মিত কার্যক্রম শুরুর দাবিতে ঢাকা আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তারা।
বিক্ষোভে অংশ নেয়া ঢাকা আইনজীবী সমিতির দফতর সম্পাদক অ্যাডভোকেট এইচএম মাসুম বাংলানিউজকে বলেন, প্রথম দিনে বেলা ১১টা থেকে এক ঘণ্টা স্বাক্ষরতা অভিযান চালানো হয়। এ সময় তিনশ জনের মতো আইনজীবী দাবির স্বপক্ষে স্বাক্ষর করেন। এরপর সাধারণ আইনজীবীদের উদ্যোগে বিক্ষোভ হয়। বারের কমিটিতে থাকলেও সাধারণ আইনজীবী হিসেবে আমরা দাবির স্বপক্ষে কয়েকজন বিক্ষোভে অংশ নিই।
এখন থেকে নিয়মিত এই স্বাক্ষর সংগ্রহ চলবে বলেও জানান তিনি।
বিক্ষোভে অংশ নেয়া কয়েকজন আইনজীবী জানান, ভার্চুয়াল কোর্টে শুধু হাজতি আসামিদের জামিন শুনানি হয়। নতুন সিআর মামলা ফাইলিং, পলাতক আসামিদের আত্মসমর্পণের মাধ্যমে জামিন শুনানি, বিচারিক কার্যক্রম ও দেওয়ানী মামলার কাজ পুরোপুরি বন্ধ। তাই বেশিরভাগ আইনজীবীই বলা যায় কর্মহীন। এ অবস্থায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিয়মিত আদালতের কার্যক্রম শুরুর জন্য পদক্ষেপ নিতে সমিতির নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপ চান তারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হোসেন আলী খান হাসান বাংলানিউজকে বলেন, আমরা সাধারণ আইনজীবীদের দাবির বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। আগামীকাল (সোমবার) সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক করব। এরপর ভার্চুয়াল নাকি রেগুলোর কোর্ট চলবে, সে বিষয়ে সমিতির সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
এর আগে শনিবার ভার্চুয়াল পদ্ধতিতেই আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত অধস্তন আদালতের বিচার কার্যক্রম চলবে বলে ঘোষণা করা হয়। এদিন প্রধান বিচারপতির আদেশক্রমে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নির্দেশনা জারি করেন।
করোনা ভাইরাসের কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও শারীরিক উপস্থিতি ব্যতিরেকে বিচারকার্য পরিচালনার লক্ষ্যে ‘আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ ২০২০’-এর ৫ ধারার ক্ষমতাবলে এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১০ মে ভার্চুয়াল আদালতরে বিষয়ে জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ীই আদালতের কার্যক্রম পরিচালিত হবে। ওই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ভার্চুয়াল আদালতে শুধু হাজতি আসামিদের জামিন শুনানির কথা বলা হয়। একই সময় পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারকাজও ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে হবে বলে আলাদা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
গত ৭ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভপতিত্বে গণভবনে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ ২০২০’- এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
এর দু’দিন পর ৯ মে ভার্চ্যুয়াল কোর্ট সম্পর্কিত অধ্যাদেশ জারি করা হয়। অধ্যাদেশে বলা হয়, সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ বা ক্ষেত্রমত হাইকোর্ট বিভাগ, সময় সময়, প্র্যাকটিস নির্দেশনা (বিশেষ বা সাধারণ) জারি করতে পারবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০২০
কেআই/এমকেআর