বুধবার (০৩ জুন) ঢাকার মেট্রোপিলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডে যাওয়া দুজন হলেন, মাহবুবুর রহমান ও শহিদুর রহমান।
এই দুজনকে পল্টন থানায় মানবপাচার আইনে করা মামলায় আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক মিজানুর রহমান। শুনানি শেষে বিচারক চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর পল্টন থানায় মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন এবং হত্যার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়।
মঙ্গলবার রাত দশটার দিকে সিআইডির উপ-পরিদর্শক (এসআই) এএইচএম আবুল ফজল বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় আসামি হিসেবে ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত আরও ৩০/৩৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন- ভৈরবের তানজিমুল ওরফে তানজিদ, বাচ্চু মিলিটারি, নাজমুল, জোবর আলী, জাফর, স্বপন, মিন্টু মিয়া, হেলাল উদ্দিন, কুষ্টিয়ার কামাল হোসেন ওরফে হাজী কামাল, আলী হোসেন, শরিয়তপুরের সাদ্দাম, ঢাকার কামরাঙ্গীর চরের কামাল হোসেন, মাদারীপুরের রাশিদা বেগম, নূর হোসেন শেখ, ইমাম হোসেন শেখ, আকবর হোসেন শেখ, বুলু বেগম, জুলহাস সরদার, আমির শেখ, নজরুল মোল্লা, কামরাঙ্গীর চরের শাহাদাত হোসেন, জাহিদুল শেখ, জাকির মাতুব্বর, আমির হোসেন, লিয়াকত শেখ ওরফে লেকু শেখ, গোপালগঞ্জের আব্দুর রব মোড়ল, কুদ্দুস বয়াতী, মাহবুবুর রহমান, শহীদুর রহমান, কিশোরগঞ্জের হাজী শহীদ মিয়া, খবির উদ্দিন, মুন্নী আক্তার রূপসী ও লালন।
এর আগে লিবিয়ায় ২৬ জন বাংলাদেশি নিহতের ঘটনায় মানবপাচারকারী চক্রের অন্যতম হোতা কামাল হোসেন ওরফে হাজী কামালকে (৫৫) ভাটারা থানার পাসপোর্ট আইনের মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়। তিনিও এই মামলার এজাহারনামীয় আসামি।
লিবিয়ার মিজদাহ শহরে গত ২৮ মে ২৬ বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। একই ঘটনায় আরও ১১ বাংলাদেশি মারাত্মকভাবে আহত হন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৮ ঘণ্টা, জুন ০৩, ২০২০
কেআই/এইচএডি