বৃহস্পতিবার (৪ জুন) ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হোসেন আলী খান হাসান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানোনো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এনআই অ্যা ক্টের ১৩৮ ধারার অধীনে মামলা ফাইলিং গ্রহণ করতে সম্মত হয়েছেন।
ন্যায়বিচারের স্বার্থে উক্ত আইনের মামলা ফাইলিং প্রত্যেক আমলি আদালতের ইমেইলের মাধ্যিমে করার জনয স অনুরোধ করা হলো। পরবর্তীসময়ে আদালতের আদেশপ্রাপ্তি সাপেক্ষে ফৌজদারি কার্যবিধির ২০০ ধারায় বাদীর জবানবন্দি দেওয়া যাবে।
এর আগে গত ৩০ মে প্রধান বিচারপতির আদেশক্রমে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর স্বাক্ষরিত এক বিজ্প্তিতে ১৫ জুন পর্যন্ত ভার্চ্যুয়ালি নিম্ন আদালতের কার্যক্রম পরিচালনার কথা জানানো হয়।
গত ১০ মে ভার্চ্যুয়াল আদালতের বিষয়ে জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ীই আদালতের কার্যক্রম পরিচালিত হবে। ওই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ভার্চ্যুয়াল আদালতে শুধু হাজতি আসামিদের জামিন শুনানির সিদ্ধান্ত হয়।
গত ২৬ এপ্রিল বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতে সাধারণ ছুটিতে আদালত বন্ধ রেখে ভার্চ্যুয়াল কোর্ট চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়।
গত ৭ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভপতিত্বে গণভবনে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘আদালতের তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ ২০২০’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
দু’’দিন পর ৯ মে ভার্চ্যুয়াল কোর্ট সম্পর্কিত অধ্যাদেশ জারি করা হয়। অধ্যাদেশে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ বা ক্ষেত্রমত হাইকোর্ট বিভাগ, সময় সময়, প্র্যাকটিস নির্দেশনা (বিশেষ বা সাধারণ) জারি করতে পারবে।
অধ্যাদেশে আরও বলা হয়, ফৌজদারি কার্যবিধি বা দেওয়ানি কার্যবিধি বা আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে ভিন্নতর যাই থাকুক না কেন, যে কোনো আদালত এই অধ্যাদেশের ধারা ৫ এর অধীন জারি করা প্র্যাকটিস নির্দেশনা (বিশেষ বা সাধারণ) সাপেক্ষে, অডিও-ভিডিও বা অন্য কোনো ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে বিচারপ্রার্থী পক্ষ বা তাদের আইনজীবী বা সংশ্লিষ্ট অন্য ব্যক্তি বা সাক্ষীদের ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতি নিশ্চিত করে যে কোনো মামলার বিচার বা বিচারিক অনুসন্ধান বা দরখাস্ত বা আপিল শুনানি বা সাক্ষ্য গ্রহণ বা যুক্তিতর্ক গ্রহণ বা আদেশ বা রায় দিতে পারবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৪ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০২০
কেআই/এএ