বৃহস্পতিবার (৪ জুন) বিচারপতি জেবিএম হাসানের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আবেদনের ওপর শুনানি হয়।
ওই প্রজ্ঞাপন বাতিল চেয়ে ১ জুন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির পল্লব এ রিট আবেদন দাখিল করেছিলেন।
রিট আবেদনের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস।
পরে হুমায়ুন কবির পল্লব বলেন, শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছেন-৬০ শতাংশ ভাড়া বাড়ানো বর্তমান পরিস্থিতে যৌক্তিক। আমরা বলেছি কোভিড-১৯ পরিস্থিতে এটা বাড়ানো অত্যন্ত অযৌক্তিক। বরং এ ভাড়াটি কমানো উচিত। এ পরিস্থিতিতে আদালত কোনো আদেশ দেননি। এটাকে আউট অব লিস্ট (কার্যতালিকা থেকে বাদ) করেছেন।
রিট আবেদনে বলা হয়, শুধু বাসভাড়া বাড়ানো বৈষম্যমূলক, অযৌক্তিক ও নিপীড়নমূলক। কারণ গণপরিবহন বলতে বাস, ট্রেন, লঞ্চ ও প্লেনকে বোঝায়। এখানে অন্য কোনো পরিবহনের ভাড়া না বাড়িয়ে শুধু বাস ভাড়া বাড়ানো হয়েছে যা বৈষম্যমূলক।
রিট আবেদনে আরো বলা হয়, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে কয়েকমাস ধরে সব কিছু বন্ধ। নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষরা মারাত্মক অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে। তারা কর্মহীন ও বেকার হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। এ অবস্থায় বাস ভাড়া বাড়ানো তাদের জন্য নিপীড়নমূলক ছাড়া আর কিছু নয়। কারণ বাসে চলাচল করে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষেরা।
করোনাকালীন গণপরিবহনের ভাড়া ৮০ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাবের পর ৩১ মে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় ৬০ শতাংশ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২২ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০২০
ইএস/এএ