সোমবার (১৫ জুন) ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ এই আদেশ দেন।
দুদকের পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বছর ২৪ সেপ্টেম্বর দুই ভাই এনু-রুপনের বাড়িতে অভিযান চালায় র্যাব। সেখান থেকে টাকা ও গহনা জব্দ করার পর ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের কর্মচারী আবুল কালাম ও এনুর বন্ধু হারুন অর রশিদের বাসায় অভিযান চালানো হয়। ওই অভিযানে ৫ কোটি ৫ লাখ টাকা, ৮ কেজি স্বর্ণালঙ্কার ও ৬টি আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করে র্যাব।
এরপর দুদক তাদের সম্পদের বিষয়ে অনুসন্ধান চালায়। অনুসন্ধান শেষে গত বছর ২৩ অক্টোবর ৩৫ কোটি টকা জ্ঞাত বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এই দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
এর মধ্যে এনামুল হক এনুর বিরুদ্ধে করা মামলার বাদী সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, এনু ২১ কোটি ৮৯ লাখ ৪৩ হাজার টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন।
এজাহারে বলা হয়েছে, এনুর আয়কর নথি, গণমাধ্যমের সংবাদ ও গোপন সূত্রে পাওয়া তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, এনুর বৈধ আয়ের কোনো উৎসই নেই। ক্যাসিনো থেকে আসা অর্থ দিয়েই তিনি প্রচুর সম্পদ অর্জন করেছেন। তিনি বিদেশেও বিপুল পরিমাণ সম্পদ গড়ে তুলেছেন বলে দুদকের কাছে তথ্য আছে।
এর মধ্যে ব্যবসার পুঁজি এবং ‘এনু রুপন স্টিল কর্পোরেশন’র শেয়ার বাবদ প্রদর্শিত ২ কোটি ৭১ লাখ ৮২ হাজার ৪৮১ টাকা অর্জনের সপক্ষে কোনো বৈধ আয়ের উৎস দেখাননি। এটা তার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ।
গত ১৯ জানুয়ারি এই মামলায় রূপনকে গ্রেফতার দেখানোর পর ৫ দিনের রিমান্ডে পাঠান একই আদালত। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৩ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২০
কেআই/এইচএডি