মঙ্গলবার (১৬ জুন) এ তথ্য জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র মোহাম্মদ সাইফুর রহমান।
মোহাম্মদ সাইফুর রহমান জানান, ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে আদালতে বিচারকার্য পরিচালনা এবং দায়িত্ব পালনের সময় সারাদেশে অধস্তন আদালত এ পর্যন্ত ১৩ জন বিচারক এবং ২৬ জন কর্মচারী করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন।
সর্বপ্রথম নেত্রকোনা জেলা ও দায়রা জজ শাহাজাহান কবির করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হন এবং একই দিনে মুন্সিগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল মাজিস্ট্রেট বেগম রোকেয়া রহমানও আক্রান্ত হন। বর্তমানে তারা দুজন সুস্থ হয়ে আবার কাজে যোগদান করেছেন।
এ মুহূর্তে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন লালমনিরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ফেরদৌস আহমেদ। তাকে প্লাজমা দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮ এর বিচারক বেগম শামীম আহমেদ ও ডিপিডিসি-২ এর স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম রেজমিন সুলতানা।
অধস্তন আদালতের যেসব বিচারক বর্তমানে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে নিজ বাসস্থানে চিকিৎসাধীন আছেন, তারা হচ্ছেন- কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক কিরণ শংকর হালদার, জয়পুরহাটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. রুস্তম আলী, আইন ও বিচার বিভাগের উপসচিব এস মোহাম্মদ আলী, কুড়িগ্রামের ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. তৈয়ব আলী, নেত্রকোনার সহকারী জজ মো. মেহেদী হাসান, চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিপলু কুমার দে, চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সালেহ মোহাম্মদ নোমান এবং নোয়াখালী হাতিয়া চৌকি আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. নিজাম উদ্দিন।
সুপ্রিম কোর্ট থেকে ২৬ জন কর্মচারীর চিকিৎসা বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা জজদের অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানান সাইফুর রহমান।
এর আগে গত ১৪ জুন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত অধস্তন আদালতের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা ও সহায়ক কর্মকর্তা-কার্মচারীদের তথ্য চেয়েছিলেন হাইকোর্ট প্রশাসন।
হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মো. গোলাম রব্বানী স্বাক্ষরিত এক স্মারক থেকে এ তথ্য চেয়েছিলেন।
ওই স্মারকে বলা হয় ‘করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) আক্রান্ত অধস্তন আদালতে কর্মরত বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা ও সহায়ক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তথ্য বিবরণী প্রেরণ প্রসঙ্গে’ শীর্ষক স্মারকে বলা হয়- উপযুক্ত বিষয়ে নির্দেশিত হয়ে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হলে অধস্তন আদালতের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের তথ্য বিবরণী ১ নম্বর ছক মোতাবেক এবং সহায়ক কর্মকর্তা/কর্মচারীদের তথ্য বিবরণী ২ নম্বর ছক মোতাবেক মেইলযোগে পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হলো।
সব জেলা জজ, মহানগর দায়রা জজ, সব বিভাগীয় স্পেশাল জজ/স্পেশাল জজসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে এ স্মারকের অনুলিপি পাঠানো হয়। এরপর সারাদেশ থেকে এ তথ্য হাইকোর্টে আসে।
বাংলাদেশ সময়: ১২১২ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০২০
ইএস/টিএ