ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

মিনহাজ–দিদারুলদের জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৪ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০২০
মিনহাজ–দিদারুলদের জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি

ঢাকা: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম গুজব ছড়ানোর অভিযোগে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক মিনহাজ মান্নান ও সামাজিক সংগঠন রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য দিদারুল ইসলাম ভূইয়াসহ চারজনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত।

ভার্চ্যুয়াল আদালতে তাদের বিরুদ্ধে করা রিমান্ড আবেদন নাকচ করে মঙ্গলবার (১৬ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম এ আদেশ দেন।  

মামলার অন্যর দুই আসামি হলেন- কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর ও ব্যবসায়ী মুশতাক আহমেদ।

গত মে মাসে তাদের গ্রেফতারের পর সাতদিন করে রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জামশেদুল ইসলাম। তখন আবেদনের উপর শুনানি হয়নি। মঙ্গলবার কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যেমে তাদের শুনানিতে যুক্ত করা হয়। এসময় আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে রিমান্ড ও জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে যেকোনো দুই কার্যদিবস তাদের জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অনুমতি দেন বিচারক।

আদালতের রমনা থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক নিজাম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত ৬ ও ৭ মে মিনহাজ মান্নান, কিশোর, দিদার ও মুশতাককে গ্রেফতারের পর আদালতের মাধ্য মে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।  

এর আগে ৫ মে র‌্যাব-৩, সিপিসি-১ এর ওয়ারেন্ট অফিসার মো. আবু বকর সিদ্দিক বাদী ১১ জনের নামে রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন। এছাড়া আরও অজ্ঞাত ৫/৬ জনকে আসামি করা হয়।

মামলায় এজাহারভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন- প্রবাসী সাংবাদিক তাসনিম খলিল ও সাহেদ আলম, সায়ের জুলকারনাইন, আশিক ইমরান, ফিলিপ শুমাখার, স্বপন ওয়াহিদ, ব্লগার আসিফ মহিউদ্দীন।

র‌্যাব জানায়, আসামিরা ‘আই অ্যাম বাংলাদেশি’ নামে ফেসবুক পেজে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বা সুনাম ক্ষুণ্ণ করতে বা বিভ্রান্তি ছড়ানোর উদ্দেশে অপপ্রচার বা গুজবসহ বিভিন্ন ধরনের পোস্ট দিয়েছেন। যা জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটায়। ওই পেজের অ্যাডমিন শায়ের জুলকারনাইন এবং আমি কিশোর, আশিক ইমরান, ফিলিপ সমাচার, স্বপন ওয়াহিদ, মোস্তাক আহম্মেদ নামীয় ফেসবুক আইডিসহ পাঁচজন এডিটর পরস্পর যোগসাজশে ফেসবুক পেজটি দীর্ঘদিন ধরে পরিচালনা করছেন।

আহমেদ কবীর কিশোর, তাসনিম খলিল, জুলকারনাইন, সাহেদ আলম ও আসিফ মহিউদ্দিনের মধ্যে ‘রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক চ্যাটিং’ এর প্রমাণ পাওয়া গেছে উল্লেখ করে এজাহারে বলা হয়েছে, ‘তাদের ব্যবহৃত স্যামসাং মোবাইল ফোনে ‘আমি কিশোর’ ফেসবুক অ্যাকাউন্ট লগইন অবস্থায় পাওয়া যায়। আলামত পর্যালোচনা করে রাষ্ট্রবিরোধী পোস্ট, মহামারি করোনা ভাইরাস, সরকারদলীয় বিভিন্ন নেতার কার্টুন দিয়ে গুজব ছড়িয়ে জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টির প্রমাণ পাওয়া যায়।

এছাড়াও হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুক মেসেঞ্জারে তাসনিম খলিল, শায়ের জুলকারনাইন, সাহেদ আলম, আসিফ মহিউদ্দিনের সঙ্গে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক চ্যাটিংয়ের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০২০
কেআই/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।