বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের বেঞ্চে তার আবেদন দুটির ওপর রোববার (২১ জুন) শুনানি হয়।
ভার্চ্যুয়াল শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন ও জাকির হোসেন।
দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান ও মো.আশরাফ উদ্দিন ভূঁইয়া।
পরে আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, মামলা দুটি নিয়মিত বেঞ্চে শুনানি হবে মর্মে আদেশ দেন এবং হাইকোর্টের নিয়মিত বেঞ্চ না খোলা পর্যন্ত মামলা দুটি ( স্ট্যান্ড ওভার) মুলতবি থাকবে বলেও আদেশ দেন ভার্চ্যুয়াল আদালত।
দুই মামলায়ই গত জানুয়ারি মাসে তার জামিনের আবেদন খারিজ করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত।
ক্যাসিনোবিরোধী শুদ্ধি অভিযানের সময় গত বছরের ১১ অক্টোবর গ্রেপ্তার হন হাবিবুর রহমান ওরফে পাগলা মিজান। ওই দিন তার বাসায় অভিযান চালায় র্যাব।
অর্থপাচার মামলা বাসায় অভিযানে বিভিন্ন ব্যাংকের কয়েকটি চেক, একটি মানি রিসিট, ছয়টি এফডিআর, একটি ডিপোজিট স্লিপ নিয়ে মোট সাত কোটি ৫৯ লাখ ৯০ হাজার টাকার চেক ও এফডিআর জব্দ করা হয়।
এ ঘটনায় ১২ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় মানিলন্ডারিং আইনে মামলা (নম্বর-৩১) দায়ের করে র্যাব।
মামলাটির এজাহারে বলা হয়, তিনি ভীতি সৃষ্টি করে টেন্ডারবাজি, গরুর হাট দখল, চাঁদাবাজি করে স্বনামে-বেনামে বিপুল অর্থ বৈভবের মালিক হয়েছেন। তার কাছ থেকে জব্দ করা চেকগুলো ও এফডিআরের অর্থের উৎস তিনি দেখাতে পারেননি এবং এ বিষয়ে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। এর ফলে আসামি হাবিবুর রহমান মিজান মানিলন্ডারিং আইন ২০১২ (সংশোধন/২০১৫) এর ৮/২ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে প্রতীয়মান হয়।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলা গত বছরের ৬ নভেম্বর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ মিজানের বিরুদ্ধে ৩০ কোটি ১৬ লাখ ৮৭ হাজার ৩৩১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে। মামলাটি করেন দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৬ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০২০
ইএস/এইচএডি