সোমবার (২৯ জুন) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাবের উপ-পরিদর্শক আরিফুজ্জামান ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার জাফর হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে শেরে বাংলানগর থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, অভিযোগপত্রে ১২ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। পরবর্তী আনুষ্ঠানিকতার জন্য অভিযোগপত্রটি মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিনুর রহমানের আমলি আদালতে পাঠানো হবে। এরপর প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে মামলাটি ঢাকার ১ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে বিচারের জন্য বদলি হবে। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে মামলার পরবর্তী কার্যক্রম কখন হবে তা নিশ্চিত নয়।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে নয়াদিল্লিতে যাওয়ার সময় বহির্গমন গেট থেকে পাপিয়া ও তার মফিজুরকে গ্রেফতার করে র্যাব-২ এর একটি দল।
এসময় তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, বাংলাদেশি দুই লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ জাল টাকা, ৩১০ ভারতীয় রুপি, ৪২০ শ্রীলংকান মুদ্রা, ১১ হাজার ৯১ মার্কিন ডলার ও সাতটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
র্যাব জানায়, যুবলীগ নেত্রী পাপিয়া পিউ নামেই তিনি বেশি পরিচিত। এ নেত্রীর প্রকাশ্য আয়ের উৎস গাড়ি বিক্রি ও সার্ভিসিংয়ের ব্যবসা। তবে এর আড়ালে তিনি মূলত অবৈধ অস্ত্র ও মাদকের ব্যবসা করতেন। কোনো কাজ বাগিয়ে নিতে পাঁচতারকা হোটেলে সুন্দরী তরুণীদের পাঠিয়ে মনোরঞ্জন করতেন সংশ্নিষ্ট ব্যক্তিদের।
পরে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় জাল টাকা উদ্ধারের ঘটনায় এবং ২৪ ফেব্রুয়ারি শেরে বাংলানগর থানায় অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের দু’টি মামলা হয়।
তিনটি মামলায় এ দু’জনকে দুই দফায় ৩০ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৬ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০২০
কেআই/আরবি/