ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

করোনা পরীক্ষায় আমিই প্রথম হাসপাতাল দিই, আদালতে সাহেদ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০২০
করোনা পরীক্ষায় আমিই প্রথম হাসপাতাল দিই, আদালতে সাহেদ

ঢাকা: করোনা রোগীদের চিকিৎসায় আমিই প্রথম সরকারকে বেসরকারি হাসপাতাল দিই। করোনার চিকিৎসা দিতে গিয়ে আমি এবং আমার পরিবার আক্রান্ত হই।

বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) সকালে আদালতে রিমান্ড শুনানিকালে এ কথা বলেন রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ করিম।

এরআগে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে রিজেন্ট হাসপাতাল প্রতারণা মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড চায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।

পরে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম শুনানি শেষে সাহেদ এবং মাসুদের ১০ দিনেরই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এছাড়া সাহেদের অন্যতম সহযোগী তরিকুল ইসলাম ওরফে তারেক শিবলীর বিরুদ্ধে দ্বিতীয়বারের মতো পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আদালতে রিমান্ড আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ঢাকার মহানগর পিপি আব্দুল্লাহ আবু। আসামি পক্ষে আইনজীবী নাজমুল হোসেন রিমান্ড বাতিল পূর্বক জামিন আবেদন করেন।

শুনানির একপর্যায়ে সাহেদ আদালতের অনুমতি নিয়ে কথা বলেন। তিনি রিজেন্ট হাসপাতালের লাইসেন্স নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, লাইসেন্স নবায়নের জন্য সরকারি ফি সোনালী ব্যাংকে জমা দিয়েছি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর লাইসেন্স নবায়নে বিলম্ব করেছে। এখানে আমাদের কোন দায় নেই।

এর আগে বুধবার (১৫ জুলাই) রাতে ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার হাজতখানায় রাখা হয় সাহেদকে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাকে নিয়ে আদালতে পৌঁছায় পুলিশ। ডিএমপির মিডিয়া সেন্টার থেকে জানানো হয়েছে, আদালতে পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়েছে।

ওই দিন ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার সময় অবৈধ অস্ত্রসহ তাকে গ্রেফতার করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। তার বিরুদ্ধে দেবহাটা থানায়ও অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

করোনা ভাইরাস পরীক্ষা না করেই সার্টিফিকেট দেওয়াসহ নানা প্রতারণার অভিযোগে রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমকে প্রধান আসামি করে ১৭ জনের বিরুদ্ধে গত ০৭ জুলাই উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করে র‌্যাব। সেই মামলায় মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন মোট আটজন।

গত ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর কার্যালয়ে অভিযান চালায় র‌্যাব। পরীক্ষা ছাড়াই করোনার রিপোর্ট ও সনদ দিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছিল হাসপাতালটি। পরে ৭ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশে রিজেন্ট হাসপাতালের দুই শাখা ও তার মূল কার্যালয় সিলগালা করে দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫০ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০২০
কেআই/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।