ঢাকা: মহামারি করোনাকালে গত ১২ থেকে ১৬ জুলাই পর্যন্ত অধস্তন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছে ১৭ হাজার ৫৯০ জন আসামি। পাঁচহাজর ৩১৯টি মামলায় আত্মসমর্পণের পর এদের জামিন হলেও কারাগারে পাঠানো হয়েছে এক হাজার ১৭৪ জন আসামিকে।
রোববার (১৯ জুলাই) এ তথ্য জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান।
গত ৪ জুলাই স্বাস্থ্যবিধি এবং শারীরিক ও সামাজিক দূরত্ব কঠোরভাবে অনুসরণ করে ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তি শুধু মাত্র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করতে পারবেন বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি।
পরে গত ৫ জুলাই থেকে এসব কোর্টে আত্মসমর্পণ শুরু করে আসমিরা। এরপর গত ১১ জুলাই এ সংক্রান্ত আর একটি প্র্যাকটিস নির্দেশনা সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে বিজ্ঞপ্তি আকারে জারি করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধান বিচারপতি সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের সঙ্গে আলোচনাক্রমে এ মর্মে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন যে, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ জারিকৃত স্বাস্থ্যবিধি এবং শারীরিক ও সামাজিক দূরত্ব কঠোরভাবে অনুসরণ করে ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তি/ব্যক্তিরা অধস্তন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে পারবেন।
এ বিষয়ে অধস্তন আদালতের বিচারক/ম্যাজিস্ট্রেট এজলাস কক্ষে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনসহ শারীরিক ও সামাজিক দূরত্ব বজায় নিশ্চিতকরণে প্রয়োজনীয় কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করবেন।
অর্থাৎ অধস্তন সব কোর্টেই আত্মসমর্পণের সুযোগ দেওয়া হয়।
রোববার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান বলেন, গত ১২ জুলাই থেকে ১৬ জুলাই পর্যন্ত (রোববার-বৃহস্পতিবার) সারা দেশের অধস্তন আদালতে পাঁচহাজার ৩১৯টি মামলায় আত্নসমর্পণ আবেদন নিষ্পত্তি হয়। মোট ১৭ হাজার ৫৯০ জন অভিযুক্ত ব্যক্তির জামিন মঞ্জুর হয়েছে। এক হাজার ১৭৪ জন অভিযুক্ত ব্যক্তিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গত ১২ জুলাই সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন জানায়, গত ৫ জুলাই থেকে ৯ জুলাই পর্যন্ত পাঁচদিনে সারা দেশে সিএমএম ও সিজেএম কোর্ট থেকে ২৩ হাজার ৩৯৬ জন আত্মসমর্পণ করে জামিন নিয়েছেন।
এসময়ে ছয় হাজার ৫৮৮টি আত্মসমর্পণ পূর্বক জামিনের আবেদন নিষ্পত্তি করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০২০
ইএস/আরবি/