ঢাকা: অর্থপাচার ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় জামিন পাননি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান ওরফে ‘পাগলা মিজান’।
রোববার (১৯ জুলাই) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের হাইকোর্টের ভার্চ্যুয়াল বেঞ্চে তার আবেদন দু’টির ওপর শুনানি হয়।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী মোহাম্মদ ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন ও আইনজীবী মো. জাকির হোসেন সরদার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান ও মো. আশরাফ উদ্দিন ভুঁইয়া।
পরে আমিন উদ্দিন মানিক জানান, আবারও দুই মামলায় ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্টে জামিন পাননি মোহাম্মদপুরের আলোচিত সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান ওরফে পাগলা মিজান। নিয়মিত কোর্ট খুললে তার জামিন বিষয়ে শুনানি হবে বলে আবেদনগুলো স্ট্যান্ডওভার (মুলতবি) রাখেন আদালত। এর আগে গত ২১ জুন অনুরূপ আদেশ হয়েছিল। এর মধ্যে ২৪ জুন তার স্ত্রী মনি রহমান করোনা ভাইরাসে মৃত্যুবরণ করেন। এ যুক্তিতে দুই মামলায় নতুন করে তার পক্ষে জামিন আবেদন করা হয়েছিল।
দুই মামলায়ই গত জানুয়ারি মাসে তার জামিনের আবেদন খারিজ করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত।
ক্যাসিনোবিরোধী শুদ্ধি অভিযানের সময় গত বছরের ১১ অক্টোবর গ্রেফতার হন হাবিবুর রহমান ওরফে পাগলা মিজান। ওই দিন তার বাসায় অভিযান চালায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
অর্থপাচার মামলা বাসায় অভিযানে বিভিন্ন ব্যাংকের কয়েকটি চেক, একটি টাকা আদায়ের রশিদ (মানি রিসিট), ছয়টি এফডিআর, একটি ডিপোজিট স্লিপ নিয়ে মোট সাত কোটি ৫৯ লাখ ৯০ হাজার টাকার চেক ও এফডিআর জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় ১২ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় মানিলন্ডারিং আইনে মামলা (নম্বর-৩১) দায়ের করে র্যাব।
মামলার এজাহারে বলা হয়, তিনি ভীতি সৃষ্টি করে টেন্ডারবাজি, গরুর হাট দখল, চাঁদাবাজি করে স্বনামে-বেনামে বিপুল অর্থ বৈভবের মালিক হয়েছেন। তার কাছ থেকে জব্দ করা চেক ও এফডিআরের অর্থের উৎস তিনি দেখাতে পারেননি এবং এ বিষয়ে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। এর ফলে আসামি হাবিবুর রহমান মিজান মানিলন্ডারিং আইন ২০১২ (সংশোধন/২০১৫) এর ৮/২ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে প্রতীয়মান হয়।
জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলা গত বছরের ৬ নভেম্বর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ মিজানের বিরুদ্ধে ৩০ কোটি ১৬ লাখ ৮৭ হাজার ৩৩১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে। মামলাটি করেন দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০২০
ইএস/ওএইচ/