ঢাকা: করোনাভাইরাসের উপসর্গ থাকা রোগীর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা ছাড়াই মনগড়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার ডা. সাবরিনার স্বামী জেকেজি হেলথ কেয়ারের কর্ণধার আরিফুল চৌধুরীকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রোববার (১৯ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা আক্তার তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ১৫ জুলাই জিজ্ঞাসবাদের জন্য আরিফুলের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ডে জিজ্ঞাসবাদ শেষে রোববার তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করেন ডিবির তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠান।
গত ২৩ জুন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত রাজধানীর বিমানবন্দর, আশকোনা ও গুলশান-২-এর কনফিডেন্স টাওয়ারে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। পরদিন তাদের দুই দিনের জন্য রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন আদালত।
ওই দিনই হুমায়ুন কবির ও তানজীনা পাটোয়ারী নামে গ্রেফতার অপর দুজন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
পুলিশ জানায়, গ্রেফতার হুমায়ুন কবির এ চক্রের মূল হোতা। তানজীনা পাটোয়ারী তার স্ত্রী। তাদের নেতৃত্বে চক্রটি রাজধানীর বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে করোনার পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করত এবং ভুয়া রিপোর্ট দিত। চক্রটি জনপ্রতি ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিত।
পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, আটকরা করোনার উপসর্গ থাকা রোগীদের বাসায় গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার ফলাফল জানিয়ে দেন। তবে নমুনা সংগ্রহের পর তা আর পরীক্ষা করা হয় না। তাদের নেই কোনো ল্যাব। কম্পিউটারে ফলাফল লিখে ই-মেইলে তা রোগীর কাছে পাঠিয়ে দেন। এভাবে ইতোমধ্যে ৩৭ জনের ভুয়া কোভিড-১৯ টেস্ট রিপোর্ট জানিয়ে দেন তারা।
নমুনা সংগ্রহের সময় রোগীর বাহ্যিক উপসর্গ দেখে একটা ধারণা থেকে ফলাফল তৈরি করে ওই চক্র। করোনার বাহ্যিক উপসর্গ দেখা দিলে, সে ক্ষেত্রে তার পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ উল্লেখ করা হতো। কোনো উপসর্গ না দেখা দিলে তার রিপোর্টে নেগেটিভ উল্লেখ করা হতো।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০২০
কেআই/এমজেএফ