ঢাকা: মহামারি করোনাকালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সারাদেশের সব অধস্তন আদালতে ভার্চ্যুয়াল শুনানি নিয়ে গত পাঁচ কার্যদিবসে ছয় হাজার ৮২২ জন আসামি জামিন পেয়েছে। এ নিয়ে ৫০ কার্যদিবসে মোট ৬৭ হাজার ২২৯ জন আসামির জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে।
রোববার (২৬ জুলাই) এ তথ্য জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র ও হাইকোর্ট বিভাগের স্পেশাল অফিসার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান।
গত ৯ মে ভার্চ্যুয়াল কোর্টে শুনানির জন্য অধ্যাদেশ জারি করা হয়। পরদিন ১০ মে উচ্চ আদালতের সব বিচারপতিকে নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সে ফুলকোর্ট সভা করেন প্রধান বিচারপতি। ওইদিনই নিম্ন আদালতের ভার্চ্যুয়াল কোর্টে শুধু জামিন শুনানি করতে নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। এরপর থেকে নিম্ন আদালতে ভার্চ্যুয়াল কোর্টে জামিন শুনানি শুরু হয়। গত ১১ মে প্রথমবারের মতো কুমিল্লার আদালতে এক আসামির জামিন হয়।
মোহাম্মদ সাইফুর রহমান জানান, গত ১৯ জুলাই থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত সারাদেশে অধস্তন আদালতে ভার্চ্যুয়াল শুনানিতে ১৫ হাজার ৪৯৫টি জামিন-দরখাস্ত নিষ্পত্তি এবং ছয় হাজার ৮২২ জন অভিযুক্ত ব্যক্তির জামিন মঞ্জুর হয়েছে।
এছাড়া গত ১১ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মোট ৫০ কার্যদিবসে সারাদেশে অধস্তন আদালতে ভার্চ্যুয়াল শুনানিতে মোট এক লাখ ৩৬ হাজার ৩৯৯টি জামিন-দরখাস্ত নিষ্পত্তি এবং ৬৭ হাজার ২২৯ জন অভিযুক্ত ব্যক্তির জামিন মঞ্জুর হয়েছে।
করোনাকালে গত ২৬ মার্চের পর দফায় দফায় সাধারণ ছুটিরও মেয়াদ বাড়ানো হয়। সবশেষ গত ১৬ মে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে সাধারণ ছুটির মেয়াদ ৩০ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। তবে সরকার গত ৩০ মের পর সাধারণ ছুটি আর না বাড়ালেও আদালত অঙ্গনে নিয়মিত কার্যক্রমের পরিবর্তে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ভার্চ্যুয়াল বিচার কাজ অব্যাহত থাকবে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০২০
ইএস/আরবি/