ঢাকা: মহামারি করোনাকালে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর বুধবার (৫ আগস্ট) থেকে দেশের সব অধস্তন আদালতে শারীরিক উপস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবে বিচার কাজ শুরু হচ্ছে। তবে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা এবং বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য সুরক্ষামূলক বিধিসহ কিছু নিয়ম পালন সাপেক্ষ এ সিদ্ধান্ত দেন প্রধান বিচারপতি।
৩০ জুলাই এ বিষয়ে পৃথক বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর গত ২৬ মার্চ থেকে দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। একই সময়ে আদালতেও সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। পরে দফায় দফায় সাধারণ ছুটিরও মেয়াদ বাড়ানো হয়। সবশেষ গত ১৬ মে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে সাধারণ ছুটির মেয়াদ ৩০ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। তবে সরকার ৩০ মের পর সাধারণ ছুটি আর না বাড়ালেও আদালত অঙ্গনে নিয়মিত কার্যক্রমের পরিবর্তে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে বিচার কাজ অব্যাহত থাকবে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি দেয় সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। তবে আইনজীবীরা নিয়মিত আদালত চালু চেয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধন করে আসছিলেন।
এর মধ্যে গত ৯ মে ভার্চ্যুয়াল কোর্টে শুনানির জন্য অধ্যাদেশ জারি করা হয়। পরদিন ১০ মে উচ্চ আদালতের সব বিচারপতিকে নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সে ফুলকোর্ট সভা করেন প্রধান বিচারপতি। ওইদিনই নিম্ন আদালতের ভার্চ্যুয়াল কোর্টে শুধু জামিন শুনানি করতে নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। এরপর থেকে নিম্ন আদালতে ভার্চ্যুয়াল কোর্টে জামিন শুনানি শুরু হয়। ১১ মে প্রথমবারের মতো কুমিল্লার আদালতে এক আসামির জামিন হয়। পরে আত্মসমর্পণসহ বিভিন্ন মামলার শুনানির সুযোগ দেওয়া হয়। পরে অবশ্য অধ্যাদেশটি আইনে পরিণত করা হয়।
৩০ জুলাই সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধান বিচারপতি সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের সঙ্গে আলোচনাক্রমে এ মর্মে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন যে অধস্তন সব দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত এবং ট্রাইব্যুনালগুলোতে আগামী ৫ আগস্ট (বুধবার) থেকে শারীরিক উপস্থিতিতে স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
এতে আরো বলা হয়, অধস্তন দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত এবং ট্রাইব্যুনালগুলোর স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে সবাইকে ৩০ জুলাইয়ের জারিকৃত ১৩ নম্বর জে বিজ্ঞপ্তিতে বর্ণিত আদালত প্রাঙ্গণ এবং এজলাস কক্ষে সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ সংক্রান্ত নিদের্শনা প্রতিপালনের জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো।
বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০২০
ইএস/এসআই