মধুপুর (টাঙ্গাইল): টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে গোপালপুরের আওয়ামী লীগ নেতা কলেজ শিক্ষক আমিনুল ইসলাম তালুকদার নিক্সন খুন হওয়ার ঘটনায় আটক তিনজনের মধ্যে সুমন নামে একজন স্বেচ্ছায় আদালতে খুনের দায় স্বীকার করেছেন। অন্য সুজন ও ফারুককে চারদিন করে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) বিকেলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল-মাসুমের আদালতে সুমনের জবানবন্দি নেওয়া শেষে অন্য দু’জনের রিমান্ড আদেশ দেওয়া হয়।
স্বেচ্ছায় খুনের দায় স্বীকার করা সুমন গোপালপুরের হাদিরা ইউনিয়নের বন্দ আজগড়া গ্রামের মৃত শের আলীর ছেলে। আর সুজন বেতাল আজগড়া গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে ও আব্দুল আজিজের ছেলে ফারুক।
পুলিশ আটকদের বিকেলে আদালতে হাজির করলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল-মাসুমের আদালতে তিনজনের অন্যতম সুমন স্বেচ্ছায় খুনের দায় স্বীকার করেছেন। জবানবন্দি রেকর্ড করে ম্যাজিস্ট্রেট সুমনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কোর্ট ইন্সপেক্টর তানভীর আহমেদ সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, পুলিশের সাতদিনের রিমান্ড আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অন্য দু’জনকে চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন একই আদালত।
উল্লেখ্য, হাদিরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নিহত আমিনুল ইসলাম নিক্সন ওই ইউনিয়নের আজগড়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক আলাউদ্দিন তালুকদার ওরফে তারা মিয়ার ছেলে। টাঙ্গাইলের লায়ন নজরুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক। ধনবাড়ীর রান ডেভেলপমেন্ট উন্নয়ন সংগঠনের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি সপরিবারে ধনবাড়ী উপজেলা শহরে বসবাস করতেন। গত ৩১ জুলাই রাতে গ্রামের বাড়ি আজগড়া থেকে ধনবাড়ীর বাসায় ফেরার পথে নিক্সন আজগড়া খালের ব্রিজের অদূরে ধনবাড়ী সীমানায় দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হন। দুর্বৃত্তদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত নিক্সনকে উদ্ধার করে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
ধনবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চান মিয়া বাংলানিউজকে জানান, অভিযান চালিয়ে মামলায় উল্লেখ্য পাঁচজন আসামির মধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করা হয়। এদের মধ্যে আসামি সুমন স্বেচ্ছায় আদালতে খুনের দায় স্বীকার করেছেন। অন্য দু’জনের সাতদিনের রিমান্ড আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত প্রত্যেকের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। মামলার অন্য আসামিদের আটকের চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৫১০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৫, ২০২০
এসআরএস